চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

আকাশচুম্বী ভবনসহ পুরো শহর তৈরি হচ্ছে কাঠ দিয়ে

বিশ্বের বৃহত্তম 'কাঠের শহর' নির্মাণের ঘোষণা

সাম্প্রতিক সময়ে নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে কাঠের তৈরি আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে যদি কেউ কাঠের তৈরি পুরো একটি শহর তৈরির কথা বলে তাহলে অনেকটাই অবাক হতে হবে। অবাক শোনালেও শুধু একটি বা দু’টি ভবন নয় বরং পুরো একটি শহর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাট্রিয়াম লুজংবার্গ’।

সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম ‘কাঠের শহর’ নির্মাণের ঘোষণা করেছে অ্যাট্রিয়াম লুজংবার্গ। ২০২৫ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এর কাজ শুরু হবে। শহরটির আয়তন হবে ২ লাখ ৫০ হাজার বর্গ মিটার। এতে থাকবে ৭ হাজার অফিস স্পেস এবং ২ হাজার আবাসিক ভবন। এছাড়াও রেস্তোরা, বাজারসহ থাকবে প্রয়োজনীয় সকল কিছু। শহরটির থাকবে নিজস্ব বিদ্যুত ব্যবস্থা।

Bkash

অ্যাট্রিয়াম লুজংবার্গের সিইও অ্যানিকা আনাস জানান, প্রকল্পটি সিকলাতে নির্মিত হবে। এর কাছের এলাকাটি মাত্র পাঁচ মিনিট দূরে অবস্থিত। কংক্রিট এবং স্টিলের বিকল্প হিসেবে কাঠ দিয়ে তৈরি হবে শহরটি। তিনি বলেন, সুইডিশ উদ্ভাবন ক্ষমতার জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হবে এই শহর।

Reneta June

নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, শহরটিকে প্রাকিতিক উপাদান দিয়ে সাজানো হবে যাতে কিছুটা বনের অনুভূতি পাওয়া যায়। স্থপতিরা কাঠামোর মধ্যে প্রাকৃতিক উপাদানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। উদাহরণস্বরূপ সবুজ ছাদ এবং প্রাকৃতিক আলো দেওয়ার জন্য বড় জানালা থাকবে ভবনগুলোতে। এর ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে ফায়ার-প্রুফ কাঠ দিয়ে। কাঠ থেকে তৈরি হওয়ার ফলে কার্বন নির্গমনও কম হবে যা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সহায়ক হবে। তাছাড়া এত বড় পরিসরে শহরটি নির্মাণ করার মাধ্যমে আমরা নতুন অনেক কিছু শিখব। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে ক্রমাগত শহরটির উন্নয়ন করা।

নির্মাণ হতে যাওয়া কাঠের তৈরি এই শহরটির নকশা তৈরি করেছে স্থাপত্য সংস্থা হোয়াইট আর্কিটেক্টার এবং হেনিং লারসেন। ২০২৭ সালে শহরটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View