প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতাটাই সবচেয়ে বড়। নারী যদি ১০ টাকা উপার্জন করে তবে তা ঘরেই ফিরে আসে। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকের বৃত্তির টাকা সরাসরি মায়ের নামে পাঠিয়ে দেই। মায়ের ফোনে টাকা পাঠিয়ে দেই। মায়ের হাতে টাকা গেলে তা সাশ্রয় হয়।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে এবছর নারী দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ‘কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি, প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়লক্ষ্মী নারী’ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কালজয়ী উক্তি দিয়ে নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ যেমন অসাম্প্রদায়িকতা সমর্থন করে, তেমনি নারী পুরুষের সমান অধিকার সমর্থন করে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা আমাদের একটা সংবিধান দিয়েছেন, সেই সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছেন। নারীদের চাকরি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা নির্দিষ্ট করেছেন, চাকরির ক্ষেত্রে যাতে নারীরা সমান সুযোগ পেতে পারে। সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন দিয়েছিলেন যাতে করে নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর নারীদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা হলেন- ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া। অনুষ্ঠানে সম্মাননা পাওয়া প্রত্যেক জয়িতাকে ১ লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ প্রদান করা হয়।