দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। তাতেই ৫২৮ রানের লিড পায় কিউইরা। চতুর্থ দিনে আর ব্যাট করতে নামেনি টিম সাউদির দল। ইনিংস ঘোষণা দিয়ে সাউথ আফ্রিকাকে লক্ষ্য তাড়ায় পাঠিয়ে দেয়। ২৪৭ রানে থামে সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস। তাতে নিউজিল্যান্ড ২৮১ রানের বিশাল জয় পায়।
রানের হিসেবে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১৮ সালের ৪২৩ রানের জয়ের ম্যাচে লঙ্কানদের ৬৬০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ক্রাইস্টচার্চে সেই ম্যাচে জবাবে নেমে লঙ্কানরা ২৩৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে বুধবার চতুর্থ দিনে বিশাল রান তাড়ায় কোনো সুবিধা করতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। দুই ওপেনার এডওয়ার্ড মুর ও নিল ব্র্যান্ডকে দিনের শুরুতেই হারায় । এরপর যোবায়ের হামজা ও রেনার্ড ফন টন্ড করতেরের ৬৩ রানের জুটিতে কিছুটা পথ সামনে হাঁটে ব্র্যান্ডের দল। তবে কিউই পেসার কাইল জেমিসন প্রোটিয়াদের বেশি দূর এগোতে দেননি। টন্ডারকে ৩১ রানে আর হামজাকে ৩৬ রানে ফেরান তিনি।
এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন কিগান পিটারসেন ও ডেভিড বেডিংহ্যাম। ১৪৩ বলে ১০৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এই জুটিতে বেডিংহ্যাম একাই করেছেন ৮৯ বলে ৮৬ রান। আর ১৬ রান আসে পিটারসেনের ব্যাট থেকে।
কিউইদের বিপক্ষে মূলত লড়াই করেছেন বেডিংহ্যাম। সাউথ আফ্রিকার দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি একমাত্র ফিফটি করেন। ৯৬ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে জেমিসনের তৃতীয় শিকার হন ২৯ বর্ষী এ মিডল অর্ডার ব্যাটার। ১৩ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ইনিংসটি সাজানো ছিল।
শেষ উইকেটে কিছুটা দ্রুতগতিতে রান তোলেন রুয়ান ডি সোয়ার্ড ও ডেন প্যাটারসন। ২৪ বলে ২৪ রানের জুটি করে দলীয় ইনিংস ২৪৭ রানে তারা নিয়ে যান। সোয়ার্ট ৫৬ বলে ৩৬ ও ডেনের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১৫ রান।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কাইল জেমিসন নেন ৪ উইকেট। মিচেল স্যান্টনার শিকার করেন ৩ উইকেট।
এর আগে রাচিন রবীন্দ্রের ডাবল এবং কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসেই ৫১১ রানের পাহাড় গড়েছিল নিউজিল্যান্ড। চাপে ভেঙে পড়া সাউথ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ১৬২ রানে। ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক সাউদি। এরপর উইলিয়ামসনের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।