রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এখন সকলের মনে প্রশ্ন, এর ফলে আদৌ গ্রেপ্তার হবেন কি বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট?
এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। সেখানে বিশেষজ্ঞ মত তুলে ধরে বলা হয়েছে: পুতিনের বিরুদ্ধে যতই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক, নিজের দেশে তার গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও আইসিসির অন্তর্ভুক্ত ১২৩টি দেশের যে কোনও দেশে পুতিন গেলেই তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। খাতা-কলমে তেমন সম্ভাবনা নিশ্চয়ই রয়েছে। কিন্তু আইসিসির নিজস্ব কোনও পুলিশ বাহিনী না থাকায় পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে হবে সেই দেশগুলির পুলিশকেই। যা সচরাচর দেখা যায় না। পুতিন একটি রাষ্ট্রের প্রধান। কূটনৈতিক দিক দিয়ে দেখলে তিনি কোনও দেশে এলে তাকে সেই দেশের পুলিশের পক্ষে গ্রেপ্তার করা তাই কার্যত অসম্ভব।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে পুতিনের চলাচল এমনিতেই সীমিত। অন্তত প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার গ্রেপ্তারের সম্ভবনা নেই।
এ প্রসঙ্গে অনেকে সুদানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বাশিরের কথা তুলে এনেছেন। তিনি আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সত্ত্বেও আইসিসিরই সদস্য দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও জর্ডানে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রেপ্তার হননি। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর কেটেছে ৩ বছর। সুদান তাকে আইসিসির হাতে তুলে দেয়নি।

পুতিন ওমর আল-বাশিরের থেকে অনেকগুণ প্রভাবশালী নেতা। তাই পুতিন কোন দেশে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলেই মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসি যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া হয়েছে তাকে ‘টয়লেট পেপার’র সঙ্গে তুলনা করেছে ক্রেমলিন।
আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলগুলো থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে পুতিন জড়িত রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশাপাশি রাশিয়ার শিশু অধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।