জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা হিসেবেই বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে চলবে। বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। এটাই শহীদদের কাছে অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: এদেশকে আরও কখনও পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেব না।
বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল। একবার নয়, দুইবার বিদায় নিতে হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে অস্ত্র চোরাকারবারি, বোমা গ্রেনেড মেরে মানুষকে হত্যা করে। এখন তার ছেলে বিদেশে বসে হুকুম দিয়ে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন: এখন সারাদেশে তারা হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। আন্দোলন কী, অবরোধ হরতাল! তারা নাকি গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে? তারা এখন মানুষ মারার পরিকল্পনা করে, তারা কোন গণতন্ত্র দিবে?
প্রত্যেক এলাকায় যখনই এমন অগ্নিসন্ত্রাস ঘটাবে, তাদের থেকে সাবধান। যখনই যে করতে যাবে তাদের ধরতে হবে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন: হত্যাকারী কখনও গণতন্ত্র দিতে পারে না এটা দেশের মানুষকে বুঝতে হবে। পরাজিত শক্তির দালালদের না বলুন। এদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। যে বাংলাদেশকে হেয় করা হতো, সেই পাকিস্তান বলে আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। যারা বটমলেস বাস্কেট বলে, তারা দেখছে বাংলাদেশ এখন অনেক শক্তিশালী ।
নির্বাচন আসলেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয় বলে এসময় অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যোগ করেন: যাদের নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের বিচার শুরু হয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে ইনডেমনিটি দিয়ে তাদের দায়মুক্তি দেয়। সেই সুযোগে অনেকে রাজনীতিতে আসে আবার অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যায়। তাদের চক্রান্ত থামেনি।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন: ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আমি বলেছিলাম গ্যাস পাবে না। আল্লাহ-তায়ালাও যখন সম্পদ দেয়, মানুষ বুঝে দেয়। সেই গ্যাস দিতে পারেনি। কূপ খনন করে দেখে গ্যাস নাই।