এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
এফডিসিকে সিনেমার আঁতুরঘর বলা হলেও এখন সেখানে আর সিনেমা হয় না! তবে সিনেমা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনগুলোর দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে! আরো একবার সেই মহড়ায় দেখা যাচ্ছে সেখানে।
স্লোগানে স্লোগানে আবার উত্তাল এফডিসি। গেল মাসের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের বিজয়ী সেক্রেটারি মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সমিতিতে তার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন নিপুণ। এতে করে সাধারণ শিল্পীরা অর্থাৎ শিল্পী সমিতির সদস্যারা নিপুণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে স্লোগানও দিচ্ছেন এফডিসি চত্বরে।
ফোটের ফল নিয়ে আবারও আদালতে যাওয়ায় নিপুণের প্রতি ক্ষুব্ধ এসব সাধারণ সদস্য। তারা বলছেন, নিপুণ আদালতে গিয়ে শিল্পীদের সম্মান নষ্ট করছেন। ব্যানার হাতে তাকে প্রতিহত ও বয়কট করতে সোচ্চার হয়েছেন সাধারণ শিল্পীরা। তারা নিপুণের শাস্তি দাবি করে সেক্রেটারি পদে ডিপজলকে চাইছেন। সাধারণ শিল্পীদের পাশাপাশি শিল্পী সমিতির নির্বাচিত কমিটির সদস্যরাও ডিপজলকে চাইছেন।
এ কারণে শিল্পী সমিতির নির্বাচিত কমিটির সদস্যরা এফডিসির বাকী ১৮ সংগঠনের সঙ্গে বিকেলে বৈঠকে বসছেন। সেখান থেকে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
সূত্র বলছেন, এফডিসির সবগুলো সংগঠন নিপুণকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। এছাড়া স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধেও বাংলা সিনেমার শো না দেয়া, টিকেট মূল্য বেশিসহ একাধিক অভিযোগে এফডিসি থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হয়েছেন। সবার আগে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারই ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডিপজলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও তার কাছাকাছি ভোট পাওয়ায় মিডিয়ার কাছে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নিপুণ। নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই।
নির্বাচনের প্রায় মাস খানেক পর নিপুণের দাবি, শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। হাইকোর্টে রিট করলে শিল্পী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক ডিপজলের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।