পৌষের শেষদিকে সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। শীতে জবুথবু রাজধানীবাসীও, যদিও এখন ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আজ রোববার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে।
রোববার ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল শনিবার দিনাজপুরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, কুয়াশা আরও দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমতে পারে। তবে সপ্তাহ শেষে বৃষ্টি হতে পারে। আর বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমে শীতের তীব্রতা আবারও বাড়তে পারে।
নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে সাধারণভাবে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীত অনুভূত হয় বেশি। আবহাওয়ার আচরণ স্বাভাবিক হলে হিমালয়ের পাদদেশ এবং ভারতের আসাম-মেঘালয় সংলগ্ন সব জেলায় শীত নামে জোরেশোরেই।
ঋতু পরিক্রমায় বাংলাদেশে শীতকাল বিরাজ করে পৌষ ও মাঘ মাসজুড়ে; ইংরেজি সময় অনুসারে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি শীতকাল। এবার ডিসেম্বরে তেমন ঠান্ডা অনুভূত হয়নি। তবে জানুয়ারি থেকে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা।
আজ রোববার হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮.৫ ডিগ্রির ঘরে। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণের তথ্যমতে রোববার (১৪ জানুয়ারি) ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিপ্তরের প্রকাশিত তথ্যমতে, আজ ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল চলতি মৌসুমে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা হয় ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তাপমাত্রা।