কেমন হবে যদি আপনার মুখের ভেতর দাঁত না থাকে? কেমন লাগবে দেখতে? কী ভাবতে পারছেন না তো, ভাবা সম্ভবও না। তাইতো আমাদের বুড়োরা বলেন দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দাও। কিন্তু মানবদেহের রীতিমতো বয়সের সাথে সাথে দাঁত দুর্বল হয়ে পরে। দেখা যায় দাঁত ক্ষয়সহ মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা। কিন্তু যদি কেউ নিয়মিত ধূমপান করে তাহলে তাদের দাঁতের পরিণতি আরও খারাপ হয়। যারা ধূমপান করে তারা প্রথম থেকে দাঁতের প্রয়োজনীয় যত্ন নিলে দাঁতের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।
ধূমপানকারীরা যা করবেন দাঁতের যত্নে:
১) দাঁত মাজা: ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার অভ্যাস সকলের নিয়মের মধ্যেই পড়ে। তবে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আর এক বার দাঁত মাজার অভ্যাস। বিশেষ করে ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে না চললেই নয়।
২) টুথপেস্ট বাছাই: বিজ্ঞাপনের জমানায় আমাদের সামনে একাধিক টুথপেস্টের সম্ভার। টিভি খুললেই মাজনের বিজ্ঞাপনগুলির বেশ রমরমা চোখে পড়ে। তবে টুথপেস্ট বাছাই করার সময়ে অবশ্যই মাথায় রাখুন, তাতে যেন ফ্লুরাইড থাকে। দাঁত পরিষ্কার রাখতে এই যৌগটির জুড়ি নেই।
৩) মাউথওয়াশ: চেষ্টা করুন দিনে এক থেকে দু’বার কোনও অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে। এতে মুখে দুর্গন্ধ হবে না আর দাঁতের উপর জমে থাকা জীবাণুর স্তরও সরে যায় সহজেই। ধূমপানে অভ্যস্ত হলে এই অভ্যাস শুরু করুন।
৪) চিকিৎসকের কাছে যাওয়া: প্রত্যেককেই নিয়ম করে বছরে দু’বার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। ধূমপায়ীরা আরও বেশি বার গেলে ভাল। ধূমপায়ীদের দাঁতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা সব সময়েই বাকিদের তুলনায় বেশি। দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে তাই বছরে অন্তত দু’বার স্কেলিং করানো জরুরি।
৫) কুলকুচি: খাওয়াদাওয়ার পর সব সময়ে চেষ্টা করবেন যাতে পানি দিয়ে কুলকুচি করে নিতে পারেন। ধূমপানের ক্ষেত্রেও এমনটাই করা উচিত। না হলে নিকোটিনের স্তর জমে দাঁতের ক্ষতি হয়।