মাছে ভাতে বাঙালি। প্রতিদিনের খাবারের তাই পাতে মাছ থাকা চাই। আর মাছের মধ্যে রুই তো সবারই পছন্দের। রুই একটি অতিপরিচিত মাছ। সুস্বাদু মাছ হিসেবে রুইকে চিনে থাকলেও অনেকেই আমরা জানি না যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে এই মাছের তুলনা হয় না।
এই মাছে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকায় যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা এই মাছ খেতে পারেন। রুই মাছের তেলে থাকা ওমেগা থ্রি নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল এলডিএল ও ভিএলডিএল কমায় এবং উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে হৃদযন্ত্রে চর্বি জমতে পারে না।
আমেরিকার স্কুল অব নিউট্রিশনের জার্নাল অনুযায়ী, এই মাছ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমাতেও সাহায্য করে।
রুই মাছে আছে ভিটামিন এ, ডি, ই। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, জিংক, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন ও খনিজে ভরপুর এই মাছ। রুই মাছে কোলিন নামের একটি পদার্থ থাকে। স্নায়ুতন্ত্র, ফ্যাটের বিপাক ক্রিয়া এবং পরিবহণে সাহায্য করে এই উপাদানটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ওমেগা থ্রি থাকায়, তা রক্তের অণুচক্রিকাকে জমাট বাঁধতে দেয় না, ফলে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমে। তাই এই মাছ খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কিছুটা কমতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক রুই মাছের একটা বড় টুকরাই যথেষ্ট একজন মানুষের জন্য। তবে তার বেশি খাওয়া উচিত নয়।