টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র ২ মাস। ইতিমধ্যে স্কোয়াড গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্ষুদ্রতম সংস্করণের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা এখনো দল সাজানোর ব্যাপারে আগাতে পারেনি। শুধু তাই নয়, সিনিয়র খেলোয়াড়দের উদাসীনতার কারণে খেলোয়াড়দের নিয়ে কোনো পরিকল্পনাও সাজাতে পারছে না ক্যারিবীয়রা।
গত কয়েক মাস ধরে স্বেচ্ছায় জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন না আন্দ্রে রাসেল। বর্তমানে তিনি দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের হয়ে খেলছেন। একই লিগ খেলতে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন সুনীল নারীনও। বোর্ডের সাথে তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে জাতীয় দলের খেলা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক ধোঁয়াশা। ইনজুরির কারণে দলের বাইরে আছেন শেলডন কটরেল, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও রস্টন চেজ।
বড় সংখ্যক সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি প্রভাব ফেলেছে মাঠের খেলায়। বাংলোদেশের সাথে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে ভরাডুবির পর ভারতের বিপক্ষেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ক্যারিবীয়রা। শুধু তাই নিজেদের শক্তির টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটেও ভারতের কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক দলটি।
দলের এমন পরিস্থিতিতে হতাশ প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। শিষ্যদের শুনিয়েছেন কড়া কথাও। দেশের হয়ে খেলতে না চাইলে কারো কাছে সময় ভিক্ষা চাইবেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক উন্ডিজ অলরাউন্ডার।
‘এটা দুঃখজনক। কিন্তু এটা সমাধানেরও কোনো উপায় নেই। আমার মনে হয় না, দেশের জন্য খেরতে কারো কাছে সময় ভিক্ষা চাওয়া জরুরি। যদি কেউ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায়, নিজের ইচ্ছাতেই আসবে।’
সবার জীবনে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। খেলোয়াড়দের এখন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ক্রিকেট খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তারা যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার চেয়ে সেসব খেলাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, তবে তাই হোক!’