নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে সমর্থনের পাশাপাশি বিশ্বভারতী নিয়ে নানা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। তার এমন কাজের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে পরে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্বভারতী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, জমি বিতর্কে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সাথে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালেয়ের বিবাদ এখনও মেটেনি। এই পরিস্থিতিতে অমর্ত্য সেনের পক্ষ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ক্ষোভের মুখে পড়ে একটি সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
গতকাল (২৬ জুলাই) বুধবার বিশ্বভারতীর পল্লিশিক্ষা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র সোমনাথ সৌকে বিতর্কিত বিষয়ে ফেসবুক পোস্ট করায় একটি সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই পড়ুয়াকে শোকজও করা হয়েছে। চিঠিতে শৃঙ্খলাভঙ্গ নিয়ে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে তাকে।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বিতর্কিত পোস্ট করে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন ওই ছাত্র। শৃঙ্খলাভঙ্গের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধাচারণসহ একাধিক বিষয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মত পোষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাই সর্বসম্মতিক্রমে তৃতীয় সেমিস্টারে সোমনাথকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সোমনাথ বলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই এই শাস্তি পেতে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। প্রয়োজনে আইনের সাহায্য নিতেও পিছপা হবো না। শিক্ষার্থীরা জানায়, তৃতীয় সেমিস্টার স্থগিত করা মানেই প্রায় এক বছর নষ্ট হওয়া। এর আগেও নানা কারণে একাধিক বার বহিষ্কার করা হয় সোমনাথকে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বভারতীর এক শিক্ষার্থী জানান, উপাচার্য গত পাঁচ বছর ধরে স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই হয় জুটছে সাসপেনশন, নয়তো শোকজের নোটিস। বাদ যাননি অধ্যাপকরাও। প্রতিবাদ করলেই হয় বদলি, নয় বাতিলের খাতায়। তাই প্রয়োজনে আইনের পথ অনুসরণ করা হবে।