মৌসুমের শুরুতে ছন্দে থাকলেও শেষপর্যন্ত আর ধরে রাখতে পারেননি পিএসজির ফরোয়ার্ড নেইমার। বিশ্বকাপের পর পিএসজির হয়ে খেলতে নেমে চোটে পড়েন। মৌসুমই শেষ হয়ে যায় মাঝপথে। এসব বিপর্যয়ের মধ্যেও দুটি পুরস্কার জিতলেন ৩১ বর্ষী তারকা।
ব্রাজিলের ফুটবলে অবদান রাখার জন্য সোমবার ‘ফুই ক্লিয়ার’ অ্যাওয়ার্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে পুরস্কার হাতে তুলেছেন নেইমার। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করেছিলেন। সেই ম্যাচ যদিও হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল সেলেসাও বাহিনী।
বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে গোল পেয়ে ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলেকে স্পর্শ করেছিলেন নেইমার। দুজনেরই জাতীয় দল গোল এখন যৌথভাবে ৭৭, নেইমারের সামনে এখন অবারিত সুযোগ প্রয়াত কিংবদন্তি পেলেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
ইউরোপের ফুটবলে খেলার সঙ্গে দেশের ফুটবলের অবদানের জন্য ‘ফুই ক্লিয়ার’ পুরস্কার পেলেন নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল এবং অ্যাসিস্ট করার জন্যও পেয়েছেন আরেকটি পুরস্কার।
অর্জনের পর বলেছেন, ‘এখানে আসাটা অনেক সম্মানের বিষয়, মৌসুমের শুরুটা খুব ভালো হলেও চোটের কারণে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। আমার এই থেকে যাওয়া ভালোভাবে ফিরে আসার মতোই কাজ করছে।’
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেইমার লিখেছেন, ‘আমার কখনোই এমন লক্ষ্য ছিল না, এই গোলগুলো করতে পারব তা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার শুধু স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলের জার্সি পরে খেলা।’
পুরস্কার জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদে খেলা ভিনিসিয়াস জুনিয়রও। বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ গোল ও অ্যাসিস্টের জন্য ‘পেলে অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন ২২ বর্ষী ভিনি।
রিওতে হোটেল কোপাকাবানা প্যালেসে ছিল পুরস্কারের মঞ্চে। নেইমারের সঙ্গে এদিন পুরস্কার অনুষ্ঠানে দেখা যায় থিয়াগো সিলভা, কাফু এবং ফ্রেডকে।