১৯৬৭ সালের কথা। উত্তম ‘ছোটিসি মুলাকাত’ ছবির মাধ্যমে হিন্দি ছবিতে অভিষেক করেছিলেন। বিপরীতে ছিলেন বৈজন্তিমালা। অভিনেতার বাংলা ছবি ‘অগ্নি পরীক্ষা’র হিন্দি রিমেক ছিল সেটি। হিন্দি রিমেকটি দর্শকমহলে ততটা সাড়া ফেলতে না পারলেও, বলিউডের মন জয় করেছিলেন উত্তম কুমার।
সেই সময়ে অভিনেতা একাধিক নির্মাতার প্রস্তাব পেয়েছেন। রাজ কাপুরও দুটি ছবির প্রস্তাব দিয়েছিলেন অভিনেতাকে। কিন্তু ফিরিয়ে দিয়েছেন উত্তম।
বলিউডে উত্তমের অভিনয় এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে রাজেশখান্নাকে একবার বলা হয়েছিল উত্তমের ‘নিশি পদ্ম’ ছবির মতো করে ‘অমর প্রেম’ ছবিতে অভিনয় করতে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ছিলেন উত্তমের কাছের বন্ধু। তিনি উত্তমকে বলিউডে ওয়াহিদা রেহমানের বিপরীতে ‘বিশ সাল বাদ’ ছবিতে অভিষেক করাতে চেয়েছিলেন। তবে উত্তম প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কারণ ছবিতে নায়িকার চরিত্রটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রাজ কাপুর ‘জাগতে রাহো’ এবং ‘সঙ্গম’ করতে চেয়েছিলেন উত্তমকে নিয়ে। উত্তম ফিরিয়েছিলেন সেই প্রস্তাব। তার বদলে অভিনয় করেছিলেন রাজেন্দ্র কুমার।
‘ছোটিসি মুলাকাত’ ব্যর্থ হওয়ার পর উত্তম অভিনয় করেন ‘নায়ক’ ছবিতে। শর্মিলা ঠাকুরের বিপরীতে অভিনয় করা এই ছবিটি ব্যাপক সাফল্য পায়। এই জুটির আরেক ছবি ‘অমানুষ’। এই ছবির ‘দিল অ্যায়সা কিসিনে মেরা তোড়া’ এবং ‘না পুছ কই হামে জহর কিউ পি রাহা হু’ গান দুটি হিট হয়। এই জুটির ‘আনন্দ আশ্রম’ সাড়া জাগাতে পারেনি। তবে উত্তম-শর্মিলার ‘দুরিয়া’ প্রশংসা পেয়েছিল। যদিও এই ছবিতে শর্মিলার চরিত্রটিই প্রধান ছিল।
এছাড়াও গুলজারের ‘কিতাব’-এ দেখা গেছে উত্তমকে। এই ছবিতেও বিদ্যা সিনহা এবং মাস্টার রাজুর তুলনায় উত্তমের চরিত্রটি কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
উত্তম কুমারের সর্বশেষ হিন্দি ছবি ছিল ‘প্লট নম্বর ফাইভ’। এই ছবিতে একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল অভিনেতার মৃত্যুর পরে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া