
বাংলাদেশ পুলিশের কিছু সদস্য মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় পড়েছে। তবে তাদের কোনো তালিকা পায়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) ফারুক হোসেন।
ফারুক হোসেন বলেন, ‘গণমাধ্যমের সংবাদে যা দেখেছি, মার্কিন ভিসা নীতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের ব্যাপারে অ্যাপ্লাই করা হয়েছে। তবে তাঁরা কারা, এর কোনো তালিকা ডিএমপি পায়নি।’
তিনি বলেন: যদি ভিসা নীতি আসে, তারা হয়তো যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারবেন না।

এদিকে রোববার সচিবালয়ে ভিসা নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কাকে কাকে নিষিদ্ধ করেছে, সে বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
মার্কিন ভিসা নীতির একটা বড় তালিকা বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে। এটা কি রিউমার ছড়ানো হচ্ছে, নাকি সত্য। আদৌ সরকারের কাছে এ ধরনের কোনো তালিকা আছে কি না? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসা নীতি তারা ডিক্লেয়ার করেছে বলে আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে তো চিঠির মাধ্যমে তারা জানায়নি। কাজেই আমরা যেটা শুনেছি সেটাই জানি। এখন পর্যন্ত কাকে কাকে নিষিদ্ধ করেছে আমরা জানি না।
আমেরিকার ভিসা নীতি কার্যকর প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনো একটা নীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বিজ্ঞাপন
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে হাছান মাহমুদ বলেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ সেটি প্রমাণ করে। তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা এবং বহুমাত্রিক সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ় হচ্ছে। সুতরাং কোনো একটা নীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই নীতি তাদের বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হবে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে।
বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে গত ২৪ মে। এর চার মাসের মাথায় গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাদানে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও বিরোধী দলের সদস্যও রয়েছেন।
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যে সাতজনের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এখন পুলিশের আইজিপি।
বিজ্ঞাপন