২২ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী রাফায়েল নাদাল ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে হেরে অপ্রত্যাশিতভাবে বিদায় নিয়েছেন। র্যাঙ্কিংয়ের ২৬তম স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস টিয়াফোর কাছে পরাজিত হয়ে থেমে গেল স্প্যানিশ তারকার এবারের মিশন।
সোমবার ফ্ল্যাশিং মিডোর আর্থার অ্যাশে স্টেডিয়ামে ২৪ বর্ষী টিয়াফোর কাছে প্রথম সেটে ৬-৪ ব্যবধানে হারেন নাদাল। দ্বিতীয় সেটে ৬-৪ ব্যবধানে জিতে ঘুরে দাঁড়ালেও তৃতীয় সেটে একই ব্যবধানে হেরে বসেন। শেষ সেটটি ৬-৩ ব্যবধানে জিতে বড় অঘটনের জন্ম দেন টিয়াফো।
৩ ঘণ্টা ৩১ মিনিটের লড়াইয়ের পর হারের জন্য কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে চাননি নাদাল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি অজুহাত খুঁজে বের করতে পারি। আমার জন্য এটা সহজ। আমার প্রতিপক্ষ সেরা খেলোয়াড় ছিল। আমি একটি খারাপ ম্যাচ খেলেছি এবং সে একটি ভালো ম্যাচ খেলেছে।
‘আক্ষেপ করতে পারি। অনেক অভিযোগ করতে পারি। তাতে সব বদলে যাবে তা আমি মনে করি না। এটা আমার ক্যারিয়ারের অংশ। অনেক সময় সঠিক পথে গেছে। অজুহাত খুঁজে পাচ্ছি না। নিজের যথেষ্ট সমালোচনা করা দরকার। এটিই উন্নতির একমাত্র উপায়।’
‘আমি দীর্ঘ সময় ধরে সেরাটা ধরে রাখতে পারিনি। আমি আমার গতি যথেষ্ট দ্রুত ছিল না। সে খুব দ্রুত অনেকবার বল নিতে পেরেছিল। ফলে আমি তাকে পিছনে ফেলতে পারিনি।’
‘টেনিসে আপনাকে খুব দ্রুতগতির এবং খুব অল্প বয়সী হতে হবে। আমি আর সেই অবস্থানে নেই। আমার শটগুলো আরও ভালো হওয়া দরকার। কোনোভাবেই আমার শটের মান যথেষ্ট ভালো ছিল না, দুর্বল ছিল। আজ আমাকে বলতে হবে, আমি তার বিরুদ্ধে নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারিনি। আজ বিকালে আমি কিছুই করতে পারিনি।’
নাদালের মতো বড় তারকাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়ায় বেশ উচ্ছ্বাসিত ফ্রান্সিস টিয়াফো। সিয়েরা লিওনের বংশোদ্ভূত এই খেলোয়াড়ের বাবা ওয়াশিংটন ডিসির জুনিয়র টেনিস চ্যাম্পিয়নস সেন্টারে একজন কাস্টডিয়ান হিসাবে কাজ করতেন। শৈশবে সেখানেই টিয়াফোর টেনিসে হাতেখড়ি হয়।
টিয়াফো বলেন, ‘যখন আমি প্রথম দৃশ্যপটে আসি, তখন আমার মনে হচ্ছিল যে অনেক মানুষ আমার কাছে কম প্রত্যাশা করেছিল। আমি মানসিকভাবে এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তবে গত কয়েক বছরে আমি নিজের উন্নতি ঘটাতে করতে সক্ষম হয়েছি। আমি আমার মাথা নিচু করে রেখেছি এবং আমি জীবনে যে অবস্থানে আছি, তাতে আমি খুশি।’