খালিস্তানি শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় অটোয়া দিল্লি থেকে তাদের ৪১ জন কূটনীতিক প্রত্যাহার করলে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশ দু’টি কানাডার কূটনীতিকদের সরিয়ে নিতে দিল্লি যেন অটোয়াকে জোর না করে সেই আহ্বান জানিয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, কানাডার নাগরিক এবং খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গত জুন মাসে হত্যা করা হয়। কানাডা দাবি করেছে এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের এজেন্ট জড়িত আছে। যদিও ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ভারত থেকে কানাডার কূটনীতিকদের চলে যাওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। ভারতে কানাডার কূটনৈতিক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার জন্য ভারত সরকারের দাবির প্রতিক্রিয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, মতভেদ নিরসনের জন্য কূটনীতিকদের প্রয়োজন। আমরা ভারত সরকারকে কানাডার কূটনৈতিক উপস্থিতি হ্রাস করার জন্য জোর না করতে এবং কানাডার চলমান তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেছি। আমরা আশা করি ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে তার দায়বদ্ধতা বজায় রাখবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ভারতের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না। কারণ তারা ভারতকে তাদের প্রধান এশিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে।
যুক্তরাজ্যর পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারত সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের সাথে আমরা একমত নই। এই সিদ্ধান্তের ফলে বেশ কয়েকজন কানাডিয়ান কূটনীতিক ভারত ত্যাগ করেছে। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা প্রদানকারী সুবিধাসহ অন্যান্য সুযোগ অপসারণ করা ভিয়েনা কনভেনশন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।