চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘রাজস্থানে দরজি হত্যায় পাকিস্তানের স্লিপার সেল জড়িত’

ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে দরজি কানাইয়া লাল হত্যার ঘটনায় পাকিস্তানি স্লিপার সেল জড়িত বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

কানাইয়া লালকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কানাইয়া লালের হত্যার ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন জড়িত বলে জানিয়েছে গোয়েন্দারা।

তদন্তকারী জাতীয় সংস্থা এনআইএ জানায়, কানাইয়া লালের হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা পাকিস্তানের চরমপন্থী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগসূত্র রয়েছে। উদয়পুরের মালদাস স্ট্রিটে কানাইয়া লালকে হত্যার পর অভিযুক্তরা সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হন রাজস্থানের মন্ত্রী। রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং জানান, কানাইয়া লালের হত্যার ঘটনায় যারা যুক্ত, আগামী ৪ দিনের মধ্যে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শিগগিরই অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজস্থানের মন্ত্রী।

এরআগে, দরজিকে হত্যার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে তারা। এই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কানাইয়া লালের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, নূপুর শর্মা সংক্রান্ত যে পোস্ট করেছিলেন ওই ব্যক্তি, তা কিছু না জেনেই হোয়্যাটসঅ্যাপে ফরোয়ার্ড করেছিল কানায়ইয়া আট বছরের ছেলে। কয়েকজন কট্টরপন্থীর চোখে পড়ে সেই পোস্ট। তারপরই কট্টরপন্থীদের রোষানলে পড়েন কানাহাইয়া লাল।

কানাহইয়া লালের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, নূপুর শর্মা সংক্রান্ত যে পোস্ট করেছিলেন ওই ব্যক্তি, তা কিছু না জেনেই হোয়্যাটসঅ্যাপে ফরোয়ার্ড করেছিল আট বছরের ছেলে। কয়েকজন কট্টরপন্থীর চোখে পড়ে সেই পোস্ট। তারপরই কট্টরপন্থীদের রোষানলে পড়েন কানাইয়া লাল।

পুলিশ জানায়, রাজস্থানের উদয়পুরের ধানমান্ডি এলাকায় কানহাইয়া লাল দরজির দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করে দুই ব্যক্তি। এদের একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কানাইয়ার ওপর হামলা চালায়। অপর জন মোবাইল দিয়ে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতকারীকে পুলিশ রিয়াজ নামের ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কানাইয়াকে হত্যার কিছুক্ষণ পর তারা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে হত্যার দায় স্বীকার করে।