কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিং বন্ধ হয়ে আছে প্রায় একমাস ধরে। ডাইনিং বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে আছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় বাইরের বিভিন্ন নিম্নমানের হোটেলে চড়া দামে অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
জানা গেছে, ডাইনিং পরিচালনায় পরিচালকরা দক্ষ না হওয়ায় এবং হলের ডাইনিং পরিচালনায় ভর্তুকি না থাকায় বন্ধ রয়েছে এই দুই হলের ডাইনিং।
এই ব্যাপারে নজরুল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. হাসিব হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হলে যে খাবার খাই, সেই খাবার বাইরে খেতে গেলে তার চেয়ে বেশি টাকা লাগে, তার জন্য মাস শেষে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা বাজেট চলে আসে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি যেন অতিদ্রুত ডাইনিংগুলো চালু করে দেওয়া হয়।
দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমন শাহরিয়ার বলেন, বাইরে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলেও সেটার দাম অনেক বেশি। তাছাড়া আমাদের অনেকটুকু পথ হেটে গিয়ে খাবার খেতে হয় এতে আমাদের সময়ের অপচয় হয়। যদি ডাইনিং চালু থাকত তাহলে আমাদের সময় বাঁচতো।
ডাইনিং বন্ধ থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, হলের প্রায় প্রায় বেশিরভাগ ছাত্র ডাইনিং চললেও বাইরে খাওয়া দাওয়া করে। যেহেতু অল্প কয়েকজন ছাত্র ডাইনিংয়ে খাওয়া দাওয়া করে সেহেতু অল্প কয়েকজন ছাত্রের জন্য ডাইনিং চালু রাখা কঠিন। পরের মিটিং এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ছাত্রদের কাছে জানতে চাইবো কেন তারা বাইরে খায় এবং এর সমাধান করার চেষ্টা করব।
একই ব্যাপারে নজরুল হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল ভৌমিক বলেন, হলের ডাইনিংয়ে খুব কম শিক্ষার্থী খাওয়া দাওয়া করে। হলের যে ম্যানেজার তার পক্ষে ডাইনিং চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। আমি আবার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি আগামী সপ্তাহ থেকে আবার চালু হবে।