চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

টেকনাফে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পেল দুই শিশু

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর মুক্তিপণের বিনিময়ে দুই শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। শুক্রবার (৩ মার্চ) মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়ার গহীন পাহাড়ী এলাকায় ভুক্তভোগী শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী শিশুদের স্বজনরা মুক্তিপণের বিনিময়ের ছাড়িয়ে আনার দাবি করলেও পুলিশ বলছে, অভিযানের মুখে ওই শিশুদের অপহরণকারীরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

উদ্ধার শিশুরা হলো- টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. ওবায়দুল্লাহ (১৫) এবং একই এলাকার হোসাইন আলীর ছেলে মো. সালমান (৬)। তারা দু’ইজনই প্রতিবেশী।

শুক্রবার সন্ধ্যার আগে টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার প্রতিবেশী দুই শিশু বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়। খেলার একপর্যায়ে ওই শিশুরা বাড়ির পার্শ্ববর্তী সোনার পাড়া-টেকনাফ আন্তঃসড়কে অবস্থান করছিল। এসময় অটোরিকশাযোগে ২-৩ জন দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত শিশুদের ছেড়ে দিতে দুষ্কৃতিকারীরা ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ঘটনাটি জানার পর থেকে অপহরণের শিকার শিশুদের উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। অভিযানের মুখে অপহরণকারিরা তাদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে রাত দেড়টায় টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার পাহাড়ী ঢালু থেকে দুই শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

মো. মশিউর রহমান আরও বলেন, উদ্ধার শিশু সালমানের বয়স কম হওয়ায় রাতেই মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপর শিশু ওবায়দুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উদ্ধার হওয়া শিশু সালমানের মামাতো ভাই হামিদ হোসেন বলেন,  রাতে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে সালমানকে অপহরণকারীরা ছেড়ে দেয়। তাকে আনতে গেলে নিকর্টবর্তী পাহাড়ী এলাকায় অপর শিশু ওবায়দুল্লাহর কান্নার শব্দ শুনতে পান স্বজনরা। পরে লোকজনের আনাগোনা টের পেয়ে অপহরণকারীরা ওবায়দুল্লাহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মো. মশিউর রহমান জানান, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View