প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান আবারও শনিবার তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নেমেছেন। অসুস্থতার কারণে তিন দিন নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে থাকার পর তার এই ফেরা ছিল দৃঢ় এবং আত্মবিশ্বাসী।
তিনি যখন বন্দর নগরী ইজমিরের সমাবেশস্থলে পৌঁছান তখন সেখানে ছিল পতাকার সমুদ্র। একটি বিশাল জনসমাগম প্রখর সূর্যের নীচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার জন্য অপেক্ষা করছিল। বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটিতে এটি ছিল এরদোগানের একটি শক্তিশালী পদার্পন।
যে অসুস্থতার কারণে এরদোগানকে তিন দিন নির্বাচনী প্রচারাভিযান থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল এদিন সে অসুস্থতার কোনও লক্ষণ ছিল না তার মধ্যে। তুরষ্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টারি নির্বাচনের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি রয়েছে।
বিশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের জন্য আসছে নির্বাচন হবে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি পদের জন্য এবারের নির্বাচনে এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধীদলীয় নেতা কেমাল কিলিচদারুগলু। যিনি তুরস্কের ছোটবড় ছয়টি দলের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী জোটের পক্ষ থেকে এরদোগানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য লড়বেন। কেমাল কিলিচদারুগলু একজন ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থী। বিশ বছর ক্ষমতায় থাকা এরদোগানকে হারানোর জন্য এই প্রথম তুরস্কের সবগুলো ছোটবড় রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে এরদোগানের এ.কে. পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনে যাচ্ছে।
রবিবার একই জায়গায় একটি সমাবেশ করবে বিরোধীদল। তুরস্কের নির্বাচনী জনমত জরিপগুলি নির্বাচনে জেতার জন্য বিরোধীদলীয় নেতা কেমাল কিলিচদারুগলুকে সামান্য এগিয়ে রাখছে। তবে নির্বাচনই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
এদিন এরদোগান প্রায় ৪০ মিনিট ধরে কথা বলেন। শক্তিশালী কন্ঠে তিনি বিরোধীদের উপহাস করেন। তিনি “সন্ত্রাসবাদ” এর বিষয় সামনে এনে বলেন, শুধুমাত্র তিনিই তুরস্কের জন্য প্রবৃদ্ধি এনে দিতে পারেন।
বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত বন্দর নগরী ইজমিরে এরদোগানের এই নির্বাচনী সমাবেশ একটি লড়াকু পারফরম্যান্স ছিল যা তার সমর্থকদের আশ্বস্ত করবে এবং তার বিরোধীদেরকে চিন্তিত করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: বিবিসি