জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী আজ। সাম্প্রদায়িকতা ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কবীর চৌধুরীর কয়েক দশকের কর্মচাঞ্চল্য পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশকে।
১৯২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন গুণী এই শিক্ষাবিদ। তার পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার গোপাইরবাগ গ্রামের মুন্সী বাড়ি। পিতা খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী এবং মা আফিয়া বেগম। তার পুরো নাম আবুল কালাম মোহাম্মদ কবীর।
গত শতকের বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ষাটের দশকের বাঙালি জাতিসত্তার আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, আশির দশকে মৌলিক অধিকার ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, নব্বইয়ের দশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলা শিল্প ও সাহিত্যের অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিলেন।
সরকারি চাকুরি দিয়ে কবীর চৌধুরী কর্মজীবন শুরু করেন। স্বেচ্ছায় সরকারী চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক পদ লাভ করেন।

তার শক্তিশালী কর্মজীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি পূর্ব পাকিস্তান গর্ভনর স্বর্ণপদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, একুশে পদক, ভারতের উইলিয়াম কেরী স্বর্ণপদক, বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদকসহ আরও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
কবীর চৌধুরী ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ ঢাকার নয়াপল্টনে তার নিজ বাসভবনে ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।