রাঙ্গামাটির সীমান্ত সড়ক নির্মাণের প্রথম প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে, পাহাড়ের প্রত্যন্ত সীমান্ত এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে বদলে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের দৃশ্যপট।
সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ পর্যটন শিল্পের বিকাশে ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হওয়ার পথে।
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের অংশ হিসেবে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ১হাজার ৩৬ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ৩১৭ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৫৭ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ আগামী জুনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সড়কটি নির্মাণ হওয়ার ফলে পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকার জনপদগুলোতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।
শুক্রবার ৮ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ার কোরের প্রধান মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন।
এসময় ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ শরিফ মনি, পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাকির হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভগের যুগ্ম সচিব গৌতম চন্দ্র পালসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য অঞ্চলের পর্যায়ক্রমে ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার পার্বত্যাঞ্চলের সীমান্ত সড়ক নির্মাণ হলে পুরো সড়ক নির্মাণ শেষ হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের যেমন প্রসার ঘটবে, তেমনি যোগাযোগব্যবস্থা ও পর্যটনশিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
এছাড়া সীমান্ত সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের গুরুত্বপুর্ণ পাহাড়ী এলাকাগুলো নিরাপত্তার মধ্যে চলে আসবে। সীমান্ত সড়কের মাধ্যমে পুরো পার্বত্য অঞ্চল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশা সকলের।