তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১০ দিন পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধার কাজ। মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছারিয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে শতশত মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।
এরমধ্যে তুরস্কে মারা গেছে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। সিরিয়ায় মারা গেছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন।
ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার উদ্ধারকারীরা। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে প্রাণের সাড়া পেলেই ছুটছেন সদলবলে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হতাশ হতে হচ্ছে তাদের। ভূমিকম্পের ৮ দিন পেরিয়ে যাওয়ায় জীবিত মানুষের জন্য আলাদাভাবে তল্লাশি অভিযান বন্ধ করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবুও বৃহস্পতিবার ৩ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ততোক্ষণে পেরিয়েছে ভূমিকম্পের ২৪৮ ঘণ্টা।
ভূমিকম্পের প্রায় ১০ দিন পর কাহরামানমারাস প্রদেশ থেকে এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। সিরিয়ার ৫০ লাখ মানুষকে খাবার, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা দিতে প্রায় চল্লিশ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। তুরস্ক-সিরিয়ায় বেঁচে যাওয়া মানুষদের সহায়তায় এক কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে মালয়েশিয়া। তুরস্কের আদিয়ামান শহরের উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল পাশের হাতায়া প্রদেশে গেছেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের উদ্ধারকাজ পরিচালনা করার কথা রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকারী দলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর উপসহকারী পরিচালক ফয়সালুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিরিয়া “আল-শারকিয়া আর্মি” বাহিনী সম্পত্তি পাহারা দেয়ার জন্য ২৪ ঘন্টা কাজ করছে কাজ করছে। তুর্কি সরকারের মতে, ২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দুর্যোগ অঞ্চল ছেড়ে গেছে।
গত ৬ ফেব্রয়ারি সোমবার সকালে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। তারপর অন্তত ১০০ বার আফটার শকে কেঁপে ওঠে দুই দেশের মাটি। এতে গুঁড়িয়ে যায় দুই দেশের হাজার হাজার হাসপাতাল, স্কুল ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে দেশ দুটির লাখ লাখ মানুষ।
সিরিয়া-তুরস্কের এই ভূমিকম্পকে শতাব্দীর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বলা হচ্ছে আগামী কয়েক দিনে এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ হাজার। ১৯৩৯ সালের পর এটি তুরস্কের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।