কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর প্যারাডাইজ আবাসিক হোটেলে তামান্না (২২) নামে এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিজেকে তামান্নার স্বামী দাবি করা হুমায়ুন (২৯) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ওই যুবতীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। নিহত তামান্নার বাড়ি কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম জগন্নাথপুরে। আটক হুমায়ুনের বাড়ি জেলার কটিয়াদী উপজেলা আচমিতা এলাকায়।
বুধবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা, গত ২৫ মার্চ তামান্না ও হুমায়ুন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিকলীর হাওর প্যারাডাইজ আবাসিক হোটেলের ৬০৯ নাম্বার কক্ষে ওঠে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে তামান্নার স্বামী পরিচয়দানকারী হুমায়ুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালের নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে তামান্নার মরদেহ উদ্ধার ও হুমায়ুনকে আটক করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসক ডা. তনুশ্রী সাহা জানান, ওই যুবতীকে বেলা ১১টা সোয়া ১১টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্বামী পরিচয়ে হুমায়ুন নামে একজন লোক তাকে নিয়ে আসে। সাথে আরেকজন লোক ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে গেছে।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহে গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে মারা হয়েছে। নিহত তামান্নার পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে হাওর প্যারাডাইজ আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।