
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সৌরভ পাল (৩০) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, সৌরভ পালকে শহরের থানাপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌরভ শহরের থানা পাড়া এলাকার শ্যামল পালের ছেলে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, গতকাল শনিবার রাতে এশার বোন লুনা মির্জা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা দাবি করে এশার বড় ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পালকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। আজ সৌরভ পালকে আদালতে তোলা হবে। আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করের বেতকা নিজ বাসার ৩য় তলা থেকে এশা মির্জার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এশা বাদি হয়ে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ওই কিশোরী। মামলা দায়েরের পর গোলাম কিবরিয়া উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেন। পরে নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জুন টাঙ্গাইল শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এশা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে আদালতের নির্দেশে এশার গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির পিতা গোলাম কিবরিয়া নন। পরে আদালত গত ৯ অক্টোবর গোলাম কিবরিয়াকে ১১ জুলাই উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। পরে তিনি মুক্তি লাভ করেন। ধর্ষণের এই মামলাটি টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিপিআই) তদন্ত করছে।
বিজ্ঞাপন