কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ঝোপ থেকে জামালপুর মেলান্দহের পৌর কাউন্সিলর মো. মমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি গত ১৫ মার্চ জামালপুর থেকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় যান ব্যবসায়িক কাজে।
মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার হলুদ বোঝাই ট্রাক ছিনতাই করতে চালক-হেল্পার মিলে খুন করে মমিনকে। এই ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার ভাই আমিনুল।
এই ঘটনায় পুলিশ বলছে, ব্যবসায়িক রাজনৈতিক সব দিক বিবেচনায় এনে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হচ্ছে। বুধবার ২০ মার্চ সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের গাংরা এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় হাত-পা বাঁধা এবং মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো এক ব্যক্তির।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, তিনি জামালপুর জেলার মেলান্দহ পৌর সভার দুই নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। পেশায় তিনি একজন মসলা ব্যবসায়ী। গত ১৫ মার্চ কক্সবাজারের চকোরিয়ায় যান মসলা কিনতে, ১৯ মার্চ হলুদ বোঝাই ট্রাক নিয়ে ফেরার পথে সন্ধ্যা থেকে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপরই ২০ মার্চ তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ মিলে মহাসড়কের পাশে ঝোপে।
কাউন্সিলর মমিনের ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম জানান, যতটুকু জানি চকোরিয়া থেকে অন্তত ৩০ লাখ টাকার হলুদ কিনে জামালপুর ফিরছিলেন। আমাদের ধারণা ট্রাকের মসলা লুট করতেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মমিনকে। হাত-পা বেঁধে ফেলে দেয়া হয় মহাসড়কের পাশে। তার মুখেও স্কচটেপ দিয়ে আটকানো ছিলো।
কাউন্সিলর মমিনের মামাতো ভাই বাদশা মিয়া জানান, কাউন্সিলর মমিন চকোরিয়া থেকে বাড়ি রওনা হবার আগে তার ছেলের কাছে ট্রাকের নম্বর, চালক ও হেল্পারের নাম জানান। সেই সূত্র ধরে চলছে তদন্ত। এই ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন কাউন্সিলর মমিনের ভাই আমিনুল।
মো. মমিন তিন বছর আগে মেলান্দহ পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি মেলান্দহ পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা জানান, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করেছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের ধরতে পারবো।