চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে চবি শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) চবি প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান উপাচার্যের উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক হেলাল নিজামীকে আপনি যেভাবে অসৌজন্যমূলকভাবে শোকজ করে চিঠি পাঠালেন তা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। তিনি একজন নির্বাচিত ডিন আর আপনি হলেন অনির্বাচিত। তিনি শোকজের যে জবাব দিলেন, তার বিরুদ্ধে আপনি তো একটা বাক্যও বলতে পারেননি। এতেই বোঝা যায়-আপনি আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত, বিতর্কিত। আপনার এখনই চলে যাওয়া উচিত।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শিক্ষক সমিতিকে কীভাবে সম্বোধন করতে হয় জানেন না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শিক্ষক অবস্থান কি সেটা জেনে আসুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য, উপউপাচার্য অবসরপ্রাপ্ত ও রেজিস্ট্রার অবসরপ্রাপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়টাকে প্রশাসন অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছে।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার একজন কর্মকর্তা। তিনি শিক্ষকদের আইন শেখাতে পারেন না।’
অন্যদিকে বেলা ৩টার দিকে উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার তার কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির ঐতিহ্য ভেঙে গেছে। শিক্ষক সমিতির একাংশের কর্মকাণ্ডে আমি লজ্জিত।’
ড. শিরীণ আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম মেনেই চলছে। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।
এর আগে, চাহিদা ব্যতীতই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও আইন বিভাগে বিভিন্ন পদে ৯ জন শিক্ষকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অভিযোগে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি করে শিক্ষক সমিতি।
কর্মসূচি চলাকালীন আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড গোপনে সম্পন্ন করা হয়। মঙ্গলবার বাংলা বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষক সমিতি প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু পালন শুরু করে।
বাংলা বিভাগের বিতর্কিত নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক সমিতি।