নতুন বল হাতে নিয়েই নিউজিল্যান্ডের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। ডানহাতি বোলার প্রথম স্পেলে পাঁচ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় তুলে নেন ২ উইকেট। এরপর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৭ ওভারে দুই মেডেনসহ ১৪ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে হন টাইগারদের সফলতম। তিনিই পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
রঙিন পোশাকের ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো জয়ে অনবদ্য ভূমিকা রাখা তানজিম সাকিবের কণ্ঠে ছিল স্বস্তি। আগের ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে লাইন-লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করাতেই সাফল্য মিলেছে বলে জানান।
‘আগের ম্যাচে আমি এদিক-সেদিক বল করেছি। আমি নিজেকেই লাইন এবং লেন্থ ঠিক রাখার জন্য বোঝাচ্ছিলাম বলেছিলাম। আজ আমি সেটাই করেছি।’
নেলসনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তানজিম সাকিব ছিলেন একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন। ৬ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। শেষ ওয়ানডেতে দারুণ প্রত্যাবর্তনে তার পেস আগুনে পুড়ে ছাই কিউইরা। বোলিংটা দারুণভাবে উপভোগের কথাটা তাই খোলামনেই বললেন।
‘আমি নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সত্যিই আনন্দিত। যেভাবে শুরু করেছি, সেটা আসলেই ভালো ছিল। আমি সত্যিই বোলিং উপভোগ করেছি।’
উইকেট পেসবান্ধব হওয়াতে টসে জিতে ফিল্ডিং নিতে ভুল করেননি টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সিদ্ধান্তের দারুণ প্রতিদান তানজিম সাকিবের সঙ্গে দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার।
‘ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে তানজিমের ভাষ্য, বল যেন ছোবল দিচ্ছিল, সুইং করছিল। এটা দলকে সাহায্য করেছে এবং ভালো ছন্দ এনে দিয়েছিল। আমি উইকেট-টু-উইকেট বোলিংয়ের চেষ্টা করেছি। লাইন এবং লেন্থ ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। উইকেট সত্যিই আমাকে সাহায্য করেছে। পেস বোলারদের জন্য সত্যিই ঈশ্বর ছিলেন। পেস বোলারদের জন্য উইকেট দারুণ ছিল।’