অচেতন হয়ে বুধবার মধ্যরাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেই এমনটা হয়েছিলো বলে জানান তিনি নিজেই। এদিকে খবর রটে যায়, অভিনেতা মুশফিক ফারহানের সাথে প্রেমঘটিত জটিলতার কারণে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ করেন তানজিন তিশা!
যদিও সুস্থ হয়ে তিশা জানান, ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’র খবরটি মিথ্যে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন। যেই পোস্ট ঘিরেও জন্মায় নানা প্রশ্ন! রাতে আবার ফেসবুক লাইভে এসে পুরো বিষয়টির বর্ণনা দেন তিশা।
নিজের পেজ থেকে লাইভে এসে ফারহানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়েও মুখ খুলেন তিনি। তিশা বলেন, মুশফিক আর. ফারহানের সঙ্গে আমার প্রেম এক রকম গুঞ্জন, এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না। ফারহানকে নিয়ে কোনো কথা বলব না। সেটা প্রেম হোক আর না হোক। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। যখন আমার মনে হবে বিষয়টি মানুষের সামনে তুলে ধরা উচিত, কার সঙ্গে প্রেম করছি, কাকে বিয়ে করছি, সেদিনই বলব।
লাইভে তানজিন তিশা আত্মহত্যার প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তো আপনারা অনেক কথা বলেন, কথা বলতে পছন্দ করেন, এতে আসলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আজকে সারাদিন একটা নিউজ দেখতে পেয়েছি বা শুনতে পেয়েছি তানজিন তিশা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
আত্মহত্যা কাকে বলে প্রশ্ন রেখে তিশা বলেন, ‘আমি নিজে বিষয়টি নিয়ে একটি ইন্টারভিউতে বলেছি, আত্মহত্যা কোনো কিছুর তো সমাধান হতে পারেনা। সেখানে আমি অত্মহত্যা করব? আমার মতো একজন মানুষ? আমি কেন আত্মহত্যা করব!
তিশা আরো বলেন, আমার বাবা মারা গেছেন দুই বছরও হয়নি। তার পর থেকে আমি খুব স্ট্রং জীবন পার করছি। আমার বাবা আমাকে একজন স্ট্রং মেয়ে বানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। ওই জায়গা থেকে মনে হয় আমি আমার জীবনের সবকিছুর সঙ্গে লড়াই করতে পারব। আমার মনে হয়েছে, বাবা চলে যাওয়ার চেয়ে জীবনে আর কিছু নেই, যেটার থেকে বেশি কষ্ট আমি পাব। যেটার জন্য আমার সুইসাইড করতে হবে।
অসুস্থতার বিষয়ে তিশা বলেন, আমি খুবই অসুস্থ ছিলাম। ফুড পয়জনিং হয়েছিল। গ্যাসট্রিকের ব্যথা হচ্ছিল। আমার ফেসবুক হ্যাক হয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে আমি হতাশ ছিলাম। মানসিকভাবে আপসেট ছিলাম আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে। এরপর রাতে প্রতিদিনের ওষুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাই।
ভালো ঘুমের জন্য বেশি ওষুধ খেয়েছেন জানিয়ে তিশা বলেন, আমি ঠিকমতো ঘুমাবো বলেই পরিমাণে একটু বেশি নিয়েছি। পাওয়ার কতো তা দেখিনি। ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ ছিল না। তারপর আমি বমি করি। ইমার্জেন্সি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার কোনো সেন্স ছিল না। সরকারি হাসপাতালে মনে করেছে এটা একটা সুইসাইড কেস। তাই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে। আমাকে নিয়ে রিস্ক নেবে না বলে পরিবারের সিদ্ধান্তে ভেতরে থাকা ওষুধ বের করতে ওয়াশ করা হয়। আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি হাসপাতালে।