টাঙ্গাইলে চলন্তবাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও মৌচাক এলকার সোহাগপল্লী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে এই ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন: প্রাথমিকভাবে আসামিদের সকলকের মধ্যেই মাদক গ্রহণের সব রকমের লক্ষণ রয়েছে এবং তারা আগেও এ ধরণের ঘটনার সাথে জড়িত ছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা হচ্ছেন গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কাঞ্চনপুরের আলীর ছেলে মো. আউয়াল (৩০), একই উপজেলার শিলাবহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাহেজের ছেলে নুরনবী (২৬)
শুক্রবার দুপুর ১২ টায় দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।
গতকাল গ্রেপ্তার রাজা মিয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর বৃহস্পতিবার থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে বাস ডাকাত চক্রের সম্পর্কে তথ্য নেয়া হচ্ছে। এর আগে তারা আরও কোন ডাকাতি কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে কিনা, তাদের দলের সদস্য সংখ্যা, তারা আর কী ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রা বিরতি করে। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশি কয়েকজন ডাকাত বাসে ওঠে। বাসটি টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা যাত্রীদের হাত, পা, চোখ বেঁধে তাদের সব লুট করে।
এ সময় বাসে থাকা একাধিক নারী যাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হন। পরে বাসটিকে ডাকাতেরা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাসটি মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে রাস্তার খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোক ও ফায়ার সার্ভিস যাত্রীদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশ এলে যাত্রীরা ডাকাতি ও নির্যাতনের বিষয়টি জানান। ওই বাসের যাত্রী হেকমত মিয়া বাদি হয়ে মধুপুর থানায় বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।