বেঞ্চের খেলোয়াড় ‘বাজিয়ে’ না দেখে কন্ডিশন বিচারে একজন স্পিনার বেশি খেলিয়েছেন তামিম ইকবাল। একাদশে এক পেসার নিয়ে খেলা ম্যাচে আধিপত্য স্পিনাররাই দেখিয়েছেন। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম। একাদশের তিন স্পিনার নিয়েছেন মোট ৮ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডেতে থেমেছে ১৭৮ রানে।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ‘ধবলধোলাই’ এড়ানোর দিনেও ভাগ্যে পরিবর্তন হয়নি স্বাগতিকদের। সফরের শেষ ম্যাচে টস হেরে পুরানের দল পড়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করে ধস সামাল দেন অধিনায়ক পুরানই।
কার্টি বাদে বাকিরা এদিনও পারেননি টাইগার স্পিনারদের সামলাতে। তৃতীয়বারের মতো ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৭৯ রান।
এদিন দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন প্রায় ২৮ মাস পর ফেরা তাইজুল ইসলাম। অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়া তাইজুল নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ফেরান ব্রেন্ডন কিংকে। কাইল মেয়ার্সের ব্যর্থতায় ওপেনিংয়ে আসা কিং ফেরেন ৯ বলে ৮ রান করে। ১৫ রানের মাথায় উইকেটের পেছনে দারুণ ক্ষীপ্রতা দেখান সোহান। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত গড়ে ব্যাটিং করা শাই হোপকে হতাশ করে দেন তাইজুল।
বাঁহাতি স্পিনারের তোপের পর শামারাহ ব্রুকসকে ফিরিয়ে উইকেট তোলার মিছিলে নাম লেখান মোস্তাফিজ। এরপর ইনিংসের শেষদিকে গুডাকেশ মটিইকে বোল্ড করেন বাঁহাতি পেসার। তাসকিন-শরিফুলের না থাকার দিনে পেস আক্রমণে দারুণ করছেন ফিজ। ৭ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ফিরিয়েছেন ২ ক্যারিবিয়ান ব্যাটারকে।
তাইজুল-মিরাজ-মোসাদ্দেক, স্পিনত্রয়ীর পাশাপাশি মোস্তাফিজকেও সামলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন পুরান-কার্টি। দলীয় ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ৬৬ বলে ৩৩ রান করা কার্টি ফেরেন নাসুমের বলে তামিমকে ক্যাচ হয়ে। পরে পাওয়েলকে নিয়ে লড়ার চেষ্টা চালান পুরান। তাইজুলের বলে ফেরার আগে ২৯ বলে ১৮ রান করেন পাওয়েল।
বড় রানের পথে এগোনো স্বাগতিকদের পথ আটকে দেন তাইজুল। দলীয় ১২৫ রানে কিমো পলকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার। পরে আকিল হোসেনকে বেশি সময় থাকতে দেননি মোসাদ্দেক। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফিফটি করে অনেকটা একাই টেনে নেয়া পুরানকে বোল্ড করে প্রত্যাবর্তনে ৫ উইকেট ঝুলিতে নেন তাইজুল। ১০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটাই তার সেরা বোলিং ফিগার।
১০ ওভারে ২ মেডেন দিয়ে খরচ করেছেন ২৮ রান। তাইজুলের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পর ক্যারিবিয়ানদের বাকি দুই উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ ও নাসুম। শেষদিকে রোমারিও শেফার্ডের ২১ বলে ১৯ রানে স্কোরবোর্ডে ১৭৮ জমা করে উইন্ডিজ। নাসুম ও ফিজের উইকেট ২টি করে।