সমীকরণ ছিল, হোবার্টে জিম্বাবুয়ে-স্কটল্যান্ডের যারা জিতবে তারাই যাবে মূলপর্বে। স্কটিশদের ৫ উইকেটে হারিয়ে সেই সমীকরণ মিলিয়েছেন ক্রেগ আরভিন-সিকান্দার রাজারা। বি-গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে সুপার টুয়েলভে খেলা।
টিকে থাকার ম্যাচে বেলেরিভ ওভালে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তোলে স্কটল্যান্ড। জবাবে রাজা-আরভিনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখে লক্ষ্য পেরিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ‘বি’ গ্রুপের অন্য খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে আয়ারল্যান্ড।
২৪ অক্টোবর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবেন আরভিনরা। হোবার্টের ম্যাচটির পর ২৭ তারিখ লড়বেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৩০ তারিখ ব্রিসবেনে সাকিব আল হাসানের দলের মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে।
শুক্রবার স্কটিশদের ছোড়া ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ধুঁকছিল জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ৪ রান করে ফেরেন ওপেনার রেগিস চাকাভা। ওয়েসলি মাধভেরেকে রানের খাতাই খুলতে দেননি জশ ডেভয়। চতুর্থ ব্যাটার শেন উইলিয়ামসের অবদান মাত্র ৭ রান।
দলীয় ৫০ রানের আগে তিন টপঅর্ডার ব্যাটার হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক আরভিনকে নিয়ে সেই চাপ সামলে জয়ের পথ সহজ করে দেন রাজা। ডেভয়ের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে খেলেন ২৩ বলে ৪০ রানের ক্যামিও। বল হাতে ১ উইকেট নেয়া রাজা ইনিংস সাজান তিন চার ও দুই ছক্কায়।
পনেরতম ওভারে রাজা ফেরার পর আরভিনও ফেরেন ফিফটি পেরিয়ে। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে মিল্টন সুম্বার ১১ বলে ১১ ও রায়ান বুর্লের ৫ বলে ৭ রানে সহজ জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে।
এর আগে টস জিতে নামা স্কটিশরা উইকেট বাঁচিয়ে খেলতে গিয়ে রান তোলায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। টেন্ডাই চাতারা ৪ ওভারে ১৪ রান খরচায় ফেরান ওপেনার মিচেল জনস ও ক্যালুম ম্যাকলয়েডকে। রিচার্ড এনগ্রাভা নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার রাজা ও ব্লেসিং মুজারাবানির।
স্কটিশদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান আসে জর্জ মুনসের ব্যাটে, ৭ চারে ওপেনার খেলেন ৫১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। বাকি ব্যাটাররা ছিলেন আসা যাওয়ার ব্যস্ত। শেষদিকে ২৬ বলে ক্যালুম ম্যাকলয়েডের ২৫ রানে ১৩২-এর পুঁজি পায় স্কটল্যান্ড।
রাজার মতো খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সিকান্দার রাজা-ই। ব্যাট হাতে ৪০ রানের ক্যামিও খেলার আগে বল হাতে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় এক উইকেট তুলেছেন, নিয়েছেন একটি ক্যাচও।