এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার জন্য সব দলই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। তবে ভিন্ন পথে হাঁটছে নিউজিল্যান্ড। কোনো ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ না খেলেই কিউইরা বিশ্ব আসর শুরু করবে।
আইসিসি প্রতিটি দলকেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে পুরো স্কোয়াডকে একত্রিত করার চ্যালেঞ্জের মাঝে ব্ল্যাক ক্যাপসরা ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ২৩ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে তিন ধাপে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছাবে। অনেকের আইপিএলের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা, প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি এবং ভেন্যুর অবস্থান বিবেচনায় নিয়েই দলটির এমন পরিকল্পনা।
বিশ্বকাপের স্কোয়াড ডাক পাওয়া নয় সদস্য আইপিএলে যুক্ত। বাকিরা পাকিস্তানের পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে ছিলেন। খেলার মাঝেই ক্রিকেটাররা থাকায় তাদের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে কেন উইলিয়ামসনের দল।
নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টেড বলেছেন, ‘আসর শুরুর জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটা কঠিন জায়গা। তাই সবাইকে একই সময়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলাতে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে নিয়ে যাওয়া সহজ নয়। আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ নেই। অনেকে গত দুই মাস ধরে আইপিএলে আছে এবং আমরা সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে এসেছি।’
‘এই গ্রুপের অনেক অভিজ্ঞতা আছে, যারা আগে সিপিএল খেলেছে। তাই আমরা তাদের দিকে ঝুঁকব। প্রথম খেলার আগে আমরা যে অনুশীলনের সুযোগ পাই তাতে ভালো অবস্থানে আমরা থাকতে চাই, সেটা নিশ্চিত করবো।’
সি-গ্রুপে থাকা নিউজিল্যান্ডের জন্য সুপার এইটে ওঠা সহজ হবে না। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশাপাশি তাদের গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান। ক্যারিবীয় কন্ডিশনে
স্পিন সহায়ক হলে তা ব্ল্যাক ক্যাপসদের ব্যাটারদের ঝামেলায় ফেলতে পারে। নতুন দল উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনিকেও সমীহই করছেন স্টেড।
গায়ানার প্রোভিডেন্সে ৮ জুন আফগানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে নিউজিল্যান্ড। এরপর ১৩ জুন তাদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ১৫ জুন উগান্ডা ও ১৭ জুন পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে স্টেডের শিষ্যরা খেলবে।