ইনিংসের শুরু থেকেই রান তুলতে ধুঁকছিল আফগানিস্তান। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেন স্টোকস-স্যাম কারেনরা ভয়ানক হয়েছেন আরও। মোহাম্মদ নবীর দল তুলতে পারেনি বড় সংগ্রহ। কারেনের ফাইফারে রশিদ-ঘানিদের থামতে হয়েছে ১১২ রানে।
পার্থ স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে নিজেদের অগ্নিমূর্তি দেখিয়েছে ইংলিশ বোলাররা। সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার স্যাম কারেন। ইংলিশদের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে প্রথম ফাইফার বনে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন নবীদের। ইংল্যান্ডও পেয়েছে সহজ লক্ষ্য, জিততে ১২০ বলে প্রয়োজন ১১৩ রান।
শনিবার পার্থে আফগানদের ওপেনিং জুটি থামে তৃতীয় ওভারে। ধীরগতিতে শুরু করা রহমানুল্লাহ গুবরাজ ফেরেন ব্যক্তিগত ১০ রানে। অন্য ওপেনার হয়রতউল্লাহ জাজাইয়ে অবস্থা আরও হতশ্রী। নামের সুবিচার করতে পারেননি এই মারকাটারি ব্যাটার, স্টোকসের বলে ফেরার আগে করেছেন ১৭ বলে মাত্র ৭ রান।
দুই ওপেনার ফিরলে দলের হাল ধরেন ওসমান ঘানি ও ইব্রাহিম জাদরান। ঘানি শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছে অপরপাশ। ৩২ বলে ৩২ রান করে মঈন আলীকে কারেনের বলে জাদরান যখন ক্যাচ দেন তখন স্কোরবোর্ডে ১৪ ওভার শেষ ৪ উইকেটে ৮২ রান। এরপরই শুরু আফগানদের আসা-যাওয়ার প্রতিযোগিতা।
টপ ও মিডলে ব্যর্থ হন অধিনায়ক নবী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রশিদ খানকে রানের খাতাই খুলতে দেননি কারেন। উড-স্টোকসের গতির কাছে বারবার পরাস্ত হয়ে নবীরা যখন ধুঁকছিল, অপরপ্রান্তে কিছুটা আশা দেখাচ্ছিল উসমান ঘানি। ৮ উইকেট হাতে রেখে দলীয় পঞ্চাশ পেরোনো আফগানিস্তান শতরান তুলতে হারায় শুরুর ৫ ব্যাটারকে। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে ৩০ বলে ৩০ রান করে শতরান পার করে দেওয়া ঘানি ফিরলে থেমে যায় আফগানদের ইনিংস।
ইনিংসের বারোতম ওভারে বোলিংয়ে আসা কারেন প্রথম শিকার করেন ইব্রাহিমকে। আঠারো ওভারে ফেরান আরও দুই আফগানকে। বিশতম ওভারে এসে আরও দুই উইকেট তুলে গড়েন ইতিহাস। ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ৫ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার কারেন। ৩.৪ ওভারে ১০ রান খরচায় ফিরিয়েছেন পাঁচ আফগানকে। দুর্দান্ত বোলিং পারফর্ম করা স্টোকস ও উডের ঝুলিতে এসেছে দুটি করে উইকেট।