নাটকীয় সব মুহূর্ত উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ। রোমাঞ্চকর শেষ ওভারের শেষ বলটিতে নো-কাণ্ড নিয়ে দর্শকরা তো বটেই, দুদলের খেলোয়াড়রাও যেন বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন!
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত যখন বলটি করেছিলেন, তখন দাগের বাইরে পা দেননি। ব্যাটারের কোমরের উপরে উঁচু ফুলটস বলও দেননি, তবুও সবাইকে স্তম্ভিত করে টিভি আম্পায়ার নো বলের সংকেত দেন।
মোসাদ্দেক বৈধ ডেলিভারি করার পরও কেন টিভি আম্পায়ার নো কল করেছিলেন? সেটি ঘটনার আকস্মিকতায় অনেকে বুঝে উঠতে পারেননি। আসলে কেন নো বল দেয়া হয়েছিল? এমসিসির প্রণীত আইন কি বলছে?
আইসিসির আইনে ২৭.৩.১ ধারা অনুযায়ী বোলার ডেলিভারি করার পর বল ব্যাট ও ব্যাটারকে স্পর্শ না করা পর্যন্ত, অথবা বল স্ট্রাইকার প্রান্তের উইকেট অতিক্রম না করা পর্যন্ত, বা ব্যাটার দৌড়ের চেষ্টা করার আগ পর্যন্ত কিপারকে স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা স্টাম্পের পেছনে থাকতে হবে।
টিভি আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি আইনের ওই ধারা মোতাবেক নো বলের সংকেত দিয়েছিলেন। কারণ আইনটিতে আছে, উইকেটরক্ষক যদি উপরোক্ত আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলে স্ট্রাইক প্রান্তে (স্কয়ার লেগ) থাকা আম্পায়ার বল ডেলিভারির পর যতদ্রুত সম্ভব নো বলের সংকেত দেবেন।
স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা মরিস এরাসমাস নো বলের সংকেত দেননি। ফলে সোহান স্টাম্প ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই জয়ের আনন্দে মেতেছিল বাংলাদেশ। দুদলের খেলোয়াড়রাও মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সোহান স্টাম্প ভেঙে দিলে সবাই ভেবেছিলেন খেলা শেষ। যদিও নাটক ছিল বাকি তখনও।
কারণ দ্রুতই সংকেত আসে মুজারাবানি আউট নন। শেষ বলে তিনি এগিয়ে এসে মারতে গিয়েছিলেন। বল তার ব্যাটে লাগেনি। সোহান তখন স্টাম্প ভেঙে দেন। কিন্তু টিভি রিপ্লে দেখায়, সোহান বল ধরার আগেই গ্লাভস স্টাম্পের সামনে বাড়িয়েছিলেন। তাতেই টিভি আম্পায়ার নো ডাকেন।
পরে শেষ বলটি আবারও করতে হয় মোসাদ্দেককে। ফ্রি-হিটে অবশ্য ব্যাটেই বল লাগাতে পারেননি মুজারাবানি। সোহানের গ্লাভসে হয় জমা। নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া ৩ রানের জয়ে হাসে বাংলাদেশ।