টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ফিল সিমন্স। সামনের মাসের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজটিতে শেষবার ক্যারিবীয়দের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
হোবার্টে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বসে ক্যারিবীয়রা। দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলেও আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে মূলপর্বের আগেই ছিটকে যায় দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সকে ‘অকল্পনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন সিমন্স।
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) সিমন্সের বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সাবেক এ ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমি স্বীকার করছি শুধু দলই নয়, আমরা যে গর্বিত দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করি তারাও কষ্ট পেয়েছে। এটি হতাশাজনক এবং হৃদয়বিদারক যে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি।’
‘আমরা যথেষ্ট ভালো খেলিনি। এখন আমাদের অংশগ্রহণ ছাড়াই একটি টুর্নামেন্টের মূলপর্ব দেখতে হবে। এটি অকল্পনীয় এবং তার জন্য আমাদের ভক্ত এবং অনুরাগীদের কাছে গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’
দ্বিতীয়বারের মতো ২০১৯ সালের অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সিমন্স। চলতি বছরে ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে টেস্ট দলের ফলাফল ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে।
কিন্তু টি-টুয়েন্টিতে দৃশ্যপট ভিন্ন। উইন্ডিজ গত বিশ্বকাপে মূলপর্বে খেললেও সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নেয়। এবার সুপার টুয়েলভের টিকিটই কাটতে পারল না।
২০১৫ সালের মার্চে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর প্রথম দফায় ক্যারিবীয়দের কোচ হয়েছিলেন সিমন্স। ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বে শিরোপা জেতা দলটির কোচ ছিলেন। উইন্ডিজ দলকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন। ছক্কা মারার জন্য ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক হতে উৎসাহিত করেছিলেন।
সিমন্স ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আয়ারল্যান্ডের কোচ হন। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটে আইরিশদের অবস্থানকে উল্লেখযোগ্যভাবে উপরে নিতে ভূমিকা রাখেন। তার কোচিংয়ে আয়ারল্যান্ড ১১টি ট্রফি জিতেছে। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আইরিশরা জিতেছিল।
৫৯ বর্ষী সিমন্স আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলেরও ব্যাটিং কোচ ছিলেন। পরে ২০১৭ সালে প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালের জুনে কানাডার টি-টুয়েন্টি লিগে ব্রাম্পটন উলভস ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের কোচ হয়েছিলেন।