বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয় করলেও সুমিত সেনগুপ্ত নজড় কাড়েন সিনেমার মাধ্যমে। গেল বছর ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘দামাল’ ছবিটি তাকে পরিচিতি এনে দেয়। ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে সুমিত অভিনীত আরেক ছবি ‘ব্ল্যাক ওয়ার’।
তবে ‘দামাল’ মুক্তির মাধ্যমে তিনি সবচেয়ে বেশী দর্শকদের কাছে পৌঁছুতে পেরেছেন বলে জানান। এও বললেন, ‘দামাল’ মুক্তির পর ৮-১০টি সিনেমার চিত্রনাট্য হাতে পেয়েছি।
রায়হান রাফী পরিচালিত ‘দামাল’ ছবিতে গোলকিপার চরিত্রে অভিনয় করেন সুমিত। মুক্তির পর চারদিক থেকে নানা জনের প্রশংসা ও দর্শকদের সাড়া সুমিতের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তিনি বলেন, এতো বেশী সাড়া পাবো ভাবিনি। ইমপ্রেস এবং পরিচালকসহ সবার কাছে এজন্য কৃতজ্ঞতা।
তিনি বলেন, ‘দামাল’ আমার ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। এই ছবির পর আমার কাছে অনেকগুলো চিত্রনাট্য এসেছে। অপশন আছে কোনটা করবো, কোনটা করবো না।
এই বিষয়টি সুমিত তার কাছে মনে করেন অনেক বড় পাওয়া। তিনি বলেন, শুরুতে ই-ম্যাচিউর ছিলাম। তখন অনেকের অনেক কথা শুনে নিজেকে মিসইউজ করেছি! ২০১২-১৩ সালের দিকে বলা হতো লন্ডনের টেমস নদীর তীরে শুটিং হবে, কিন্তু দেখা যায় শেষে শুটিং হতো পূবাইলে। এসব কারণে অনেক ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যায়। যারা আমার সমমনা ছিল, তখন অনেকেই উঠে যায়। সেইসময় নিজেকে সময় নিয়ে বুঝেশুনে আগাতে শুরু করি।
সুমিত জানান, নতুন করে তিনি ক্যারিয়ার বলতে যা তা খুঁজে পান ‘মিশন এক্সট্রিম’ পার্ট ওয়ান-এ। এই ছবির দ্বিতীয় পার্ট ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ পুলিশ অ্যাকশন ধাঁচের ছবি। সেখানেও আছেন চলচ্চিত্রের সম্ভাবনাময় এই নায়ক। সুমিত বলেন: এই ছবিতে এত ভালো ভালো শিল্পী আছে যে, তাদের সঙ্গে আমাকেও ভালো করতে হবে এটা শুরু থেকে মাথায় ছিল। কিছুটা প্রেসার ছিল, তবে সেটা আমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছে।
‘পুলিশের অ্যাটিটিউড নেয়ার একটা ব্যাপার ছিল, যা আমার আগে কখনই ছিল না। রাজশাহীর সারদাসহ বিভিন্ন পুলিশ একাডেমিতে সাড়ে ৩ মাস ট্রেনিং নিয়েছি। পুলিশ চরিত্র করতে গিয়ে পুলিশদের প্রতি আমার উপলব্ধি পাল্টে গেছে। আগে ভাবতাম পুলিশের বোধহয় অর্ডার করা ছাড়া তেমন কাজ নেই! কিন্তু এখন মনে হয়, পুলিশ জেগে থাকে বলে আমরা শান্তিমত ঘুমাই। তারাও মানুষ। তাদেরও পরিবার স্বজন আছে। সবকিছু ফেলে তারা আমাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। পুলিশের এই চরিত্র না করলে বুঝতাম না। কথাটা কত দরদ দিয়ে বললাম, নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পারছেন।’-বলছিলেন সুমিত।
সুমিত বলেন, আমি আসলে ভালো ভালো কাজ করে যেতে চাই। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিটা ছোট। এখান থেকে ভালো কাজ করে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই চাওয়ার নেই। মিশন এক্সট্রিম, দামাল-এ আমি হয়তো সুযোগ পেয়ে কিছুটা বোঝাতে পেরেছি। সামনে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ দেখলেও দর্শক বুঝতে পারবেন। আরও আছে ‘শের খান’। ভালো ভালো কাজ আসবে আগামীতে। সবাই এখন আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে, আমি সহযোগিতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।