সোমবার রাতে প্রয়াত হলেন কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী। তার প্রয়াণে ঢাকাই চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শোকের ছায়া। এই নির্মাতার প্রথম এবং ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে আধুনিক সিনেমা ‘ঘুড্ডি’তে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। স্বভাবতই এই নির্মাতাকে হারিয়ে স্বজন হারানোর শোক অনুভব করছেন তিনি।
গেল ১৩ সেপ্টেম্বরও সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর সাথে কথা হয়েছে সুবর্ণার। নির্মাতার প্রয়াণ খবর শুনে বাকরুদ্ধ সুবর্ণা শোক প্রকাশ করে শুধু লিখলেন,‘১৩ তারিখ রাতেও কথা হলো.. বুঝিনি এটাই শেষ বার..!’
প্রিয় নির্মাতাকে হারিয়ে সুবর্ণা আরও লেখেন,“ক্ষমা করে দিয়েন জাকী ভাই, কিছুই করা হয়নি আপনার জন্য। আমি কেবল গ্রহণই করেছি আপনার আদর, আপনার ভালোবাসা, শিক্ষা। আবার অভিভাবক শূন্য হলাম আমরা। অনেক ভালোবাসি আপনাকে। শান্তিতে ঘুমান আপনি। পরম শ্রদ্ধা।”
বাংলা সিনেমার ইতিহাস লেখা হলে যেসব সিনেমার নাম সবার আগে প্রাধান্য পাবে, তারমধ্যে অন্যতম ছবি ‘ঘুড্ডি’। উত্তরাধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে যে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সুবর্ণা মুস্তাফা ও রাইসুল ইসলাম আসাদ।
একজন তরুণ মুক্তিযোদ্ধার বেকার জীবন ও তার অভিলাষী প্রেম নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ঘুড্ডি’। চরিত্রটি সার্থক রূপায়ণ করেছেন বাস্তব মুক্তিযোদ্ধা রাইসুল ইসলাম আসাদ। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। এই ঘুড্ডি সুবর্ণাকে জীবন নাটাইয়ে বাঁধতে গিয়েই এগিয়ে চলে আসাদের জীবন ও চলচ্চিত্রের মূল গল্প।
ছবিতে আরও আছেন নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। তাকে অল্প সময়ের জন্য দেখা যায় আসাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে। সুবর্ণার কাজিন হিসেবে আছেন তারিক আনাম খান, আসাদের বন্ধু নায়লা আজাদ নূপুর, সুবর্ণা বা ঘুড্ডির বাবা সৈয়দ হাসান ইমাম। এছাড়াও ছবিতে মাঝির চরিত্রে আছেন গোলাম মোস্তফা আর ঘুড্ডির বিশ্ববিদ্যালয়য়ের বন্ধু হিসেবে দেখা যায় শিল্পী হ্যাপি আকন্দকে।