সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ওপর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বঙ্গমাতা’ নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা গৌতম কৈরী। যার বিশেষ প্রদর্শনী হয়ে গেল সোমবার (৭ আগস্ট)।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রদর্শনীর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
স্বাগত বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ‘বঙ্গমাতা’র নির্মাতা ও সংশ্লিষ্টজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, মহিয়সী নারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিন্তু তিনি তা দেখে যেতে পারেন নি। আজ সেই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংগ্রাম করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত, নান্দনিক দেশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলের অংশগ্রহণে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পেছনে বঙ্গমাতার অবদান অতুলনীয়। বঙ্গমাতাকে নিয়ে এ ধরনের নির্মাণের প্রসংশা করেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতির পিতার জাতির পিতা হিসাবে বেড়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান মহিয়সী নারী বঙ্গমাতার। শুধু বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী হিসাবে নয়, সাথী ও রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সেজন্য বঙ্গমাতার অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা আজীবন সুখে-দুঃখে বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। মানুষের অধিকার আদায়ে, রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রাণিত-উজ্জীবিত করেছেন। সারাজীবন নিজের আনন্দ-সুখকে বিসর্জন দিয়ে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছেন। সাধারণ নারীর পক্ষে এটা কখনো সম্ভব নয়। বঙ্গমাতার ত্যাগের মহিমাকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।
আলোচনার পর শুরু হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জীবনীর উপর নির্মিত ‘বঙ্গমাতা’ এর বিশেষ প্রদর্শনী। এর উদ্বোধন করেন গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম সিমিন হোসেন রিমি।
খোরশেদ বাহারের ‘বঙ্গমাতা ইতিহাসের নিভৃত সৈনিক’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘বঙ্গমাতা’র চিত্রনাট্য লিখেছেন নাসরীন মুস্তাফা। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি।