যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন: বিএনপির রাজনীতি এদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি করছি। ঠিক যেভাবে জামাত-শিবিরের দলীয় নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে। সেভাবে বিএনপির নিবন্ধনও বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।
শুক্রবার ২৭ আগস্ট সকালে বাড্ডা হাইস্কুল মাঠে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, কোন এক অদৃশ্য কারণে আগস্ট মাসেই বারবার রক্তের কালিমা লেপেছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও শত্রুরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কালজয়ী মহানায়কদের অনেকেরই প্রাণ দিতে হয়েছে কিংবা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিশ্বে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ভারতের মহাত্মা গান্ধী, শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, চিলির সালভাদর আলেন্দে, যুক্তরাষ্ট্রের আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিং, জন এফ কেনেডি, মিয়ানমারের জেনারেল অং সান ও মিশরের আনোয়ার সাদাতসহ আরও অনেকে। কিন্তু এ সব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে একাধিক কারণে যেটি সবচেয়ে বর্বরোচিত সেটি হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ড। এটি শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড ছিল না। স্বাধীন বাংলাদেশকে তার পরাধীনতায় ফিরিয়ে নেওয়া এবং নব্য উদ্ভাসিত ও সদ্য প্রকাশিত জাতিসত্তার পরিচয় মুছে ফেলার জন্যই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে তিনবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনার কখনও ভোট কারচুপি করার দরকার পড়ে না। এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে এমনিতেই ভোট দেয়। বিএনপি যখন ৯১তে ক্ষমতায় এসেছিল তখন ভোট কিন্তু আওয়ামী লীগ বেশি পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখেন। এই যোগ্যতা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যারই আছে।
তিনি বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এ আগস্ট মাসেই বারবার রক্তের কালিমা লেপেছে এ খালেদা জিয়া তার শাসনামলে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা বাংলাদেশে বিএনপির মদদে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। দেশের ৬৩ জেলার প্রেস ক্লাব, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ঢাকার ৩৪টিসহ মোট ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আমি আজকের এ সভার মাধ্যমে এ দেশে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। ঠিক যেভাবে জামায়াত-শিবিরের দলীয় নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে। সেভাবে বিএনপির দলীয় নিবন্ধন বাতিল করে তাদের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, খুনি জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। খুনির সন্তান খুনি হয় তার প্রমাণ তারেক জিয়া। জিয়াউর রহমান যেমন ১৫ আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ঠিক তেমনি তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে সরাসরি জড়িত এবং এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। অচিরেই পলাতক খুনি তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানাই।