‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ পর পর দুটি ছবি দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন শরিফুল রাজ। ছবি দুটির সাফল্য রাজকে একলাফে সামনের সারিতে এগিয়ে দিয়েছে। তাই নির্মাতা ও প্রযোজকরা রাজে আগ্রহী হচ্ছেন।
সবখানেই এ অভিনেতার প্রশংসা! দুটি ছবির সাফল্য যখন উদাযপনের সময়, তখন রাজ অনেকটা ঘর বন্দী। চ্যানেল আই অনলাইনকে রাজ বললেন, চাইলেও ঘর থেকে বের হতে পারছি না। সারাক্ষণ পরীকে সময় দিচ্ছি, ওর যত্ন নিচ্ছি।
মা হতে যাচ্ছেন পরীমনি। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার তারিখ নির্ধারিত থাকলেও যে কোনো দিনই অনাগত সন্তানকে স্বাগত জানাতে হতে পারে। এমনকি সেটা আজ, কাল, পরশু কিংবা যে কোনো মুহূর্তে হতে পারে। তাই স্ত্রী পরীমনির পাশে সার্বক্ষণিক সময় দিচ্ছেন রাজ। ছুটছেন হাসপাতালে।
রাজ বলেন, পরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওকে সময় বেশি দেয়ার চেষ্টা করেছি। শেষ ক’টা দিন ওর সঙ্গে সবসময় আমাকে থাকতে হচ্ছে। প্রতিটি দিন নতুন নতুন অনুভূতির স্পর্শ পাচ্ছি। এটা ব্যাখ্যা করা যায় না। যারা বাবা-মা হয়, তারা বুঝবে।
পরীকে দেখভালের কারণে ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’র প্রচারণায় খুব বেশি সময় দিতে পারেননি। এ বিষয়ে রাজ বলেন, যতটা পেরেছি দুটি ছবির প্রচারণায় ছিলাম। তবে মানুষ আমার দুটি ছবির চরিত্র নিয়ে আলোচনা করছে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মনে করছি। তুলনায় কথা এলে ‘পরাণ’ যেহেতু ঈদের ছবি ছিল তাই ‘হাওয়া’র চেয়ে ‘পরাণ’ নিয়ে বেশি প্রশংসা পেয়েছি। হতে পারে আমার প্রথম ঈদের ছবি বলে বেশি আলোচিত হয়েছে। আমি মনে করেছি, দিনশেষে সত্যি সত্যি জোয়ার এসেছে।
রাজ বলেন, ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ দুটি ছবিই আমার ক্যারিয়ারে নতুন আলো দিয়েছে। আমার আগের কাজগুলো প্রশংসা পেয়েছিল কিন্তু এতো আলোচনা হয়নি। ঠিক এভাবেই কাজ করে যেতে চাই। সামনের কাজগুলো নিয়ে আমার আলাদা কোনো ভাবনা নেই। আগামীতে আমার ‘দামাল’ নামে একটা ছবি আসছে। পিরিওডিক্যাল একটা দুর্দান্ত গল্পের ছবি সেটি। ওটার সঙ্গে চরিত্র হিসেবে থাকতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করি।
রাজ বলেন, চরিত্রটা ঠিকভাবে করি। এগুলোই আমার কাজের স্টেটমেন্ট। আলাদা করে হিরোয়িজমে বিশ্বাস করি না। নেগেটিভ বা পজেটিভ যে কোনো চরিত্রে ভালো করতে পারলে দর্শক পছন্দ করে। তাই আমি সবসময় চরিত্রটা হয়ে উঠতে আপ্রাণ চেষ্টা করি।