গতবছরের মার্চে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন। এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে সেই শোকের। এতদিনে নতুন খবর এলো তার মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে। করোনার টিকা নেয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে অজি স্পিনারের, এমন দাবি করেছেন দুই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।
ইংল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক অসীম মালহোত্রা ও অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক ক্রিস নিল যৌথভাবে তথ্যটি সামনে এনেছেন। তাদের দাবি, ওয়ার্ন হৃদরোগে মারা গিয়েছেন এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে মৃত্যুর নয় মাস আগে ‘কোভিড এমআরএনএ’ নামে করোনার টিকা নিয়েছিলেন তিনি। ভ্যাকসিনটি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি যাদের হৃদরোগের সামান্য লক্ষণও থাকে।
ডা. মালহোত্রা বলেছেন, ‘একজন সাবেক ক্রীড়াবিদের মাত্র ৫২ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক। যদিও আমরা জেনেছি, মৃত্যুর আগে ওয়ার্ন খুব একটা সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন না। তার ওজন বেশি ছিল এবং ধূমপায়ী ছিলেন। সম্ভবত তার ধমনীতে আগে থেকেই কোনো সমস্যা ছিল, যেটা ধরা পড়েনি। তবে ফাইজারের দুটি ‘কোভিড এমআরএনএ’ টিকা নেয়ার পর তার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এ ধরনের রোগী আগেও দেখেছি। আমার বাবাও একই সমস্যায় মারা যান।’
অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল প্রফেশনালস সোসাইটির (এএমপিএস) সভাপতি ক্রিস নিল বলেছেন, ‘কিছু কোভিড টিকা হৃদরোগের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। কোভিড টিকা নেয়ার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেখা গেছে অন্তত ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে। অবিলম্বে এই বিশেষ টিকাটি বন্ধ করা প্রয়োজন। আমরা শিগগিরই ঘটনাগুলোর ফার্মাকোভিজিল্যান্স রিপোর্ট সমূহের একটি সিরিজ প্রকাশ করব।’
ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার দিমিত্রি মাসকারেনহাস খবরটি শুনে হতাশা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘শেন আমার ভালো বন্ধু ছিল। আমি মর্মাহত এবং দুঃখিত এটা জেনে যে, তার মৃত্যু আটকানো যেত। সে যদি কোভিড টিকা না নিতো, তাহলে আজও বেঁচে থাকতে পারত। আমি চাই না, শেনের মতো অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বজুড়ে এই টিকা বাতিল করার জন্য ডাক্তাররা ডাক দিয়েছেন, আমি তা সমর্থন করছি।’
যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির এমপি অ্যান্ড্রু ব্রিজেনও টিকা বাতিল করার আহ্বানে সমর্থন করেছেন শেন ওয়ার্নের মৃত্যুর এমন কারণ জানতে পেরে। বলেছেন, ‘শেন ওয়ার্নের এত অল্পবয়সে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অনেক মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের এই গবেষণা কোভিড টিকার সম্পৃক্ত নতুন তথ্যটি সামনে এনেছে। মনে করি, টিকা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।’