গত ১৫ মার্চ চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ এর শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেন রহমত উল্লাহ নামের একজন। নিজেকে তিনি ওই ছবির প্রযোজক বলে পরিচয় দেন।
এমন অভিযোগের পর দিন রহমত উল্লাহর সঙ্গে একটি বৈঠকে দেখা যায় শাকিব খানকে। গুঞ্জন উঠে, শাকিব হয়তো মিমাংসা করতে গেছেন! তবে শাকিব নিজে বললেন ভিন্ন কথা। কোনো ধরনের মিমাংসা করার উদ্দেশ্যে সেখানে যাননি শাকিব। তিনি দাবি করেন, সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাসের অনুরোধে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এমনকি শাকিব খান সেদিন কোনো ধরনের স্ট্যাম্প সঙ্গে নিয়ে যাননি।
শাকিব মিমাংসা করতে গেছেন, বিষয়টি ছড়িয়ে দেয়ার নেপথ্যেও ছিলেন রহমত উল্লাহ। তার উদ্দেশ্য ছিলো, তিনি শাকিবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন- সেগুলো এই নায়ক মেনে নিয়েই ‘মিমাংসা’ করতে গেছেন! এমন খবর ছড়িয়ে দেয়াও ছিলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে কোটি টাকা দাবী করা এই রহমত উল্লাহ কে, অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে- তিনি একজন ‘ভুয়া প্রযোজক’। কাগজেপত্রের চুক্তিতে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ এর প্রযোজক হিসেবে নাম আছে ভারটেক্স মিডিয়ার কর্ণধার জানে আলমের! রহমত উল্লাহর সঙ্গে শিডিউল ও সিনেমা সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যাপারে শাকিবের লিখিত চুক্তি নেই।

এ কারণে শাকিব মোটা অঙ্কের টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তখনই শাকিব খানের মানসম্মানহানী ও ধর্ষণের অভিযোগ মিমাংসা করতে আসার প্রসঙ্গ মিডিয়াতে জানান রহমত উল্লাহ। সংবাদ মাধ্যমে রহমত উল্লাহ দাবি করেন, শাকিব নিজেই উদ্যোগী হয়ে তার সঙ্গে মিমাংসায় বসতে চেয়েছেন।
বিষয়টিকে ‘পু্রোপুরি মিথ্যাচার’ উল্লেখ করে শাকিব বলেন, আমার সঙ্গে একবার দেখা করতে চেয়েছিল রহমত উল্লাহ। দেখা করে কথা বলতে পারলে এসব মিথ্যে অভিযোগ সবকিছু তুলে নেবে বলেছিল। আমি রাজি না হওয়ায় আমার সাবেক স্ত্রীকে (অপু বিশ্বাস) দিয়ে আমার পরিবারকে ম্যানেজ করে সেখানে যাওয়ার জন্য ইমপ্রেস করে। রহমত উল্লাহ বলেছিল সে স্ট্যাম্পে লিখিত দেবে এই ধরনের অভিযোগ কখন আর আনবে না। ক্ষমা চাইবে।
মোটিভ জানার জন্য ১৬ মার্চ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি রেস্টুরেস্টে গিয়েছিলেন বলে জানান শাকিব খান। তখনই রহমত উল্লাহ অভিযোগ তুলে নেয়ার কথা বলে শাকিবের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চান। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রযোজক দাবী করে জানান, টাকা দিলে তার অভিযোগ থাকবে না।
শাকিব বলেন, সে যে অন্যায় করছে আমি তখনই বলে আসি। তার সঙ্গে মিমাংসার প্রশ্নই আসে না। কারণ, আমি নিশ্চিত হয়ে যাই ভারটেক্স প্রডাকশনের সঙ্গে আমার লিখিত চুক্তি। আসল প্রযোজক যে তার কোনো আপত্তি নেই। বরং তারা চাইছেন আমার সহযোগিতায় সিনেমাটি করতে।
‘অপারেশন অগ্নিপথ নিয়ে আমার সঙ্গে এই রহমত উল্লাহর সঙ্গে কিছুই চুক্তি হয় নাই। সে বিভিন্ন প্রেসে স্ট্যাম্প ও মিমাংসার ব্যাপারে যা বলেছে সব মিথ্যা। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করতে যাচ্ছি। সেখানে এসব বিষয়সহ আমাকে যতভাবে ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করেছে সবগুলো উল্লেখ করছি।’