১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বাবর-রিজওয়ানের ১০১ রানের জুটিতে টাইগারদের থেকে ম্যাচ দূরে সরে যায়। এক বল হাতে রেখে পাকিস্তান জিতলেও তাদের তিনটির বেশি উইকেট নিতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। হাসান-সৌম্য বাদে বোলাররা ছিলেন খরুচেও।
নাজমুল হোসেন শান্ত আবারও ব্যর্থ হয়েছেন। ওপেনিংয়ে ১৫ বলে করেছেন ১২ রান। নিজের খেলা নবম বলে এসে প্রথম রানটি নিতে পারেন তিনি, যা টি-টুয়েন্টিতে একেবারেই বেমানান।
পাকিস্তানের ইনিংসের সময় রিজওয়ান ৩২ রানে যখন, তার সহজ ক্যাচ ফেলেন সাইফউদ্দিন। ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাই হয়ে যান সেই রিজওয়ান।
সাকিব আগেই বলেছিলেন, বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলাটি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও পরাজয় দিয়েই হয়েছে যার শেষ। ত্রিদেশীয় সিরিজের চার ম্যাচের সবকটিতে হেরে অধিনায়ক শুধু বিশ্বকাপের টিম কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়ার কথাই জানালেন।
‘আমরা বিশ্বকাপে যে দল নিয়ে খেলব, সেই বিষয়ে আমরা এখন পরিষ্কার, এটা ভালো দিক। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। এটি আমাদের জন্য কিছুটা ইতিবাচক। আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করাটা এখন আমাদের হাতে।’
এর আগে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে আসছে পরিবর্তন। তবে কোন কোন পজিশনে পরিবর্তন আসবে সেটি সম্পর্কে আগাম ধারণা দেননি। তার পথেই যেন হাঁটলেন সাকিবও। কে কে স্কোয়াডে ঢুকতে পারেন, কে পড়তে পারেন বাদ, এ বিষয়ে অধিনায়ক কোনো মন্তব্যই করেননি।
নিজের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে সাকিব বলেছেন, ‘আমার কাজ হল দলের জন্য রান করা। আমার বোলিংটা ভালো হয়নি। যদিও আমি উন্নতি করতে চাই।’
আগের তিন ম্যাচের তুলনায় শেষটিতে ভালো খেলেছে দল, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন টাইগার অধিনায়ক, ‘আমরা আজ সেরা ক্রিকেট খেলেছি। শেষ পর্যন্ত আরও কয়েক রান হতে পারত। ব্যাটিংয়ে আমরা মাঝের ওভারগুলোতে ভালো খেলেছি, যার অভাব এতদিন ছিল।’