প্রায় পাঁচমাস পর টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। টেস্টে ফেরা হচ্ছে প্রায় বছরখানেক পর। ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আর দেশের জার্সিতে মাঠে নামা হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। এমন একটা সময়ে প্রত্যাবর্তন ঘটছে, যখন টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে আত্মবিশ্বাস তলানিতে গেছে দলের।
সাকিব ফেরায় নিঃসন্দেহে দল আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। কেননা সাকিবের উপস্থিতি মানে ব্যাটে-বলে দুজনের কাজ একজনের মাধ্যমেই পাওয়া।
লম্বা বিরতির পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার আগে সাকিব বললেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের টেস্ট জেতা উচিত। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
‘আশা তো সবসময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সবসময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’
বৃহস্পতিবারই চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সাকিব। সঙ্গী হবেন শেষ টেস্টের দলে ডাক পাওয়া হাসান মাহমুদ। শনিবার বন্দরনগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের হারের পর বেশ চাপে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
তরুণ অধিনায়কের নেতৃত্বে এবারই প্রথম খেলবেন সাকিব। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিবের চোটে বাংলাদেশকে একাধিক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শান্ত।
অধিনায়ক হিসেবে তরুণ শান্তর ভবিষ্যৎ নিয়ে সাকিব বললেন, ‘খুবই আর্লি স্টেজ। আমি নিশ্চিত বিসিবি ওকে(শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে, যেটা সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’
নিজের ফেরা ও প্রত্যাশা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নেই। মনে হয় না ক্রিকেট যতদিন খেলেছি, কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জনের দিকে আমার চোখ ছিল। সবসময় চেষ্টা করেছি দলের জন্য কীভাবে অবদান রাখা যায়। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারা, দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটা সবসময় গর্বের একটা বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই টেস্ট দলে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত, একইসঙ্গে গর্বিত।’