অভিনেতা হিসেবে বেশ লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনয়ে বিচ্যুতি ঘটলে উপস্থাপনায় আসেন এই তারকা মুখ। সেখানে পান তুমুল জনপ্রিয়তা। তবে এই প্রজন্মের অনেকেই অভিনেতা জয়কে ভুলতে বসেছিলেন!
তবে জয়কে অভিনয়ে ‘কামব্যাক’ করিয়েছেন এই সময়ের তুমুল জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী। গত রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘৭ নাম্বার ফ্লোর’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় ক্যারিশমা দর্শকদের চমকে দিয়েছেন জয়।
কামব্যাক প্রজেক্টেই বাজিমাৎ করেন তিনি। নতুন করে আবারও অভিনয় করতে অনুপ্রেরণা পান। এবার নির্মাতা শঙ্খ ঘোষ পরিচালিত ‘গুটি’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেন জয়।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ‘গুটি’ চরকি অ্যাপে মুক্তি পাওয়ার কথা আছে। বর্তমানে এর পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলছে। ‘গুটি’ ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জয় বলেন, কাজটি নিয়ে অফিশিয়ালি মন্তব্য করায় বিধিনিষেধ আছে। এটা নিয়ে অবশ্যই কথা বলবো তবে আরও কিছু দিন পরে।
শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সঙ্গে ‘গুটি’তে আরও অভিনয় করেন আজমেরী হক বাঁধন এবং মৌসুমী হামিদ। গল্প ও চরিত্র নিয়ে বেশী কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। এতটুকু জানালেন, এবার যেটি করলাম এটা একেবারে রিয়েলিস্টিক কাজ। গল্পের ভিতরের গভীর কিছু বিষয় উঠে আসবে। এই চরিত্র করতে অভিনেতা হিসেবে আমাকে অনেক বেশী অ্যাফোর্ড দিতে হয়েছে। অভিনেতা হিসেবে অনেক বড় পরীক্ষা দিতে হয়েছে। সেটার নাম্বার দেবেন দর্শক।
চরিত্রটি নিয়ে খোলাসা না করলেও কৌশলে জয় বললেন, যে চরিত্র করলাম সেই মাপের অভিনেতা আমি কিনা সেটা দর্শকরা তাদের মন্তব্যে জানাবেন। আমি সেই রায় পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। তবে গল্প এবং নির্মাণশলী অনেক বাস্তবধর্মী হয়েছে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে আমি এতো দুর্দান্ত চরিত্রে পারফর্ম করতে পেরেছি এতে আমি হ্যাপি। কারণ এই ধরনের কঠিন চরিত্রে এখন চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিমকে দেখে অভ্যস্ত দর্শক।
‘৭ নাম্বার ফ্লোর’র পরে আবার অভিনয় প্রসঙ্গে জয় বলেন, যখন প্রথম প্রথম নাটকে অভিনয় করতাম তখন নাটক প্রচার হলে প্রচুর ফোন, মেসেজ পেতাম। অনেক বছর অভিনয়ের জন্য আবার ফোন বা মেসেজ পাইনি। ওটিটিতে কাজ করে বলতে গেলে অভিনয় জগতে আমার ‘পুনর্জন্ম’ হয়েছে। সেই পুরনো দিনের মতো মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। সত্যি বলতে আমি আশাই করিনি এতোটা প্রশংসা পাবো। এমন সাড়ায় আমি এক কথায় মুগ্ধ।