পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে ১৯৯৩ সালে ঢালিউড জগতে পা রেখেছিলেন নায়িকা শাবনূর। সাব্বিরের বিপরীতে অভিনয় করা প্রথম চলচ্চিত্র ‘চাঁদনি রাতে’ ব্যবসায়িক সাফল্য না পেলেও শাবনূর সবার চোখে পড়েন প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ’র সাথে জুটি বেঁধে।
সালমান-শাবনূর জুটির প্রথম চলচ্চিত্র ‘তুমি আমার’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। এরপর একে একে তাঁরা অভিনয় করেন মোট ১৪টি চলচ্চিত্রে।
‘সুজন-সখী’র পুনর্নির্মাণ, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘তোমাকে চাই’ কিংবা ‘আনন্দ অশ্রু’ তাঁকে পৌছে দেয় সাফল্যের চূড়ায়। একের পর এক হিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে শাবনূর হয়ে ওঠেন দর্শকদের পছন্দের শীর্ষে থাকা চিত্রনায়িকা।
সালমান শাহ’র মৃত্যুর পর নায়ক রিয়াজ, ফেরদৌসের সঙ্গে জুটি বেঁধেও সাফল্য পান শাবনূর। রিয়াজের সঙ্গে ‘মন মানে না’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ চলচ্চিত্রগুলো দারুণভাবে গ্রহণ করে সে সময়ের বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক। ‘এক টাকার বউ’ কিংবা ‘বলব কথা বাসর ঘরে’র মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে তাঁকে পাওয়া গেছে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সঙ্গেও।
এত বছরের ক্যারিয়ারে পুরস্কারের খাতায় আছে একবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাচসাস পুরস্কার ছাড়াও সেরা নায়িকা হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন মোট দশবার।
গত কয়েক বছরে রুপালি পর্দায় অনুপস্থিত শাবনূর। পরিবারের সাথে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেছেন। মাঝখানে দাম্পত্য জীবন নিয়েও খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না এই নায়িকা। এক সন্তানের জননী শাবনূর।
ববিতা, কবরী ও শাবানা পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। সিনেমায় নিয়মিত না থাকলেও তার ভক্ত অনুরাগীরা তাকে ভুলে যাননি। চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকলেও তার সিনেমার জন্য ভক্ত অনুরাগীরা প্রতিনিয়ত মনে করে এই নায়িকাকে।
১৭ ডিসেম্বর শাবনূরের জন্মদিন। এই দিনেও হাজারও ভক্ত অনুরাগী থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই শাবনূরকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন। বেশীর ভাগই মনে করেন, মানানসই চরিত্র নিয়ে আবারও চলচ্চিত্রে ফেরা উচিত এক সময়ের দাপুটে এই নায়িকার!