উঠছে ফুটবল মহাযজ্ঞের পর্দা। ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর, মাসব্যাপী ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে কোথাও ঘাটতি রাখছে না স্বাগতিক কাতার। সোনালি ট্রফি সামনে রেখে আটটি ভেন্যুতে লড়বে ৩২ দল। বৈশ্বিক আসরটিতে সমর্থন, দল, প্রিয় খেলোয়াড়কে সাহস জোগাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভ্রমণ করছে লাখো ফুটবলপ্রেমী।
কোথায় কোথায় হবে হাসি-কান্না, রোমাঞ্চ-উন্মাদনার মঞ্চায়ন, কোথায় উচ্ছ্বাস সবুজ গালিচা পেরিয়ে আছড়ে পড়বে গ্যালারিতে। সেসবের পরিচিতিতে এপর্বে থাকছে বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু রাজধানী দোহার ‘স্টেডিয়াম ৯৭৪’র কথা।
বিশ্বকাপ তো বটেই, বিশ্বেই এমন স্টেডিয়াম আগে আরেকটি দেখা যায়নি। কম খরচে, দ্রুততার সঙ্গে তৈরি ও পরিবহন যোগ্য এমন স্টেডিয়াম বৈশ্বিক আসরটিতেও প্রথম। ইতিহাস গড়া ‘স্টেডিয়াম ৯৭৪’ মূলত ৯৭৪টি কন্টেইনার দিয়ে গড়া। মহাযজ্ঞ শেষে এটি ভেঙে ফেলা হবে। ২০৩০ সালে উরুগুয়ে যদি বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পায়, তবে দেশটির মালডোনাডোতে পুনরায় প্রতিষ্ঠা হবে অনিন্দ্য সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি।
ইতিহাস, সমুদ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সর্বপরি কাতারিদের ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা জানাতে গড়া এই মাঠ। ৯৭৪টি শিপিং কন্টেইনারে নির্মিত হওয়ায় মাঠটির নামকরণও ওই নামে। কাতারের আন্তর্জাতিক ফোন নম্বর কোড ৯৭৪-এর সঙ্গেও রাখা হয়েছে মিল। দোহা সমুদ্রবন্দরের সন্নিকটে অবস্থিত স্টেডিয়ামটির নকশা করেছে ফেনউইক ইরিবারেন আর্কিটেক্ট।

সুন্দর এবং আধুনিক সব সুবিধা সম্বলিত মাঠটিতে আসন্ন আসরে খেলবেন রোনালদো-মেসি-নেইমার-এমাবাপেরা। গ্রুপপর্বে পর্তুগাল-ঘানা, ফ্রান্স-ডেনমার্ক, ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড-আর্জেন্টিনা সহ ছয়টি ম্যাচ আয়োজন করবে স্টেডিয়ামটি। ৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটিতে শেষ ষোলোর একটি ম্যাচও হবে।
প্রতিষ্ঠাকালীন নাম রাস আবু আবুদ স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে গড়া। এটি গড়ে উঠেছে মডিউলার স্টিল ও শিপিং কন্টেইনার দুর্দান্ত নকশায়। ভেন্যুটি ঠাণ্ডা রাখতে আলাদা কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি, সমুদ্রের বাতাসের অবাধ চলাচল মোহিত করে রাখবে দর্শকদের। চমক জাগানো মাঠটির স্থাপত্যশৈলী পর্যটকের কাছেও অন্যতম আকর্ষণের হয়ে উঠবে।