চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আল রাইয়ান: কাতারকে সমৃদ্ধশালী করা বাদশাহর সম্মানে

উঠছে ফুটবল মহাযজ্ঞের পর্দা। ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর, মাসব্যাপী ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে কোথাও ঘাটতি রাখছে না স্বাগতিক কাতার। সোনালি ট্রফি সামনে রেখে আটটি ভেন্যুতে লড়বে ৩২ দল। বৈশ্বিক আসরটিতে সমর্থন, দল, প্রিয় খেলোয়াড়কে সাহস জোগাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভ্রমণ করছে লাখো ফুটবলপ্রেমী।

কোথায় কোথায় হবে হাসি-কান্না, রোমাঞ্চ-উন্মাদনার মঞ্চায়ন, কোথায় উচ্ছ্বাস সবুজ গালিচা পেরিয়ে আছড়ে পড়বে গ্যালারিতে। সেসবের পরিচিতিতে এপর্বে থাকছে ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু আল রাইয়ানের ‘আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম’র কথা।

১৯৬০-৭২ সাল পর্যন্ত কাতারের বাদশাহ ছিলেন আহমাদ বিন আলী আল থানি। তেলসমৃদ্ধ ধনী যে কাতারকে আজ দেখা যাচ্ছে, তা অনেকটা থানির হাত ধরেই গড়ে উঠেছিল। তার শাসনামলে বেশকিছু নতুন তেলক্ষেত্র আবিষ্কার হয় এবং সেসময় দেশটির আর্থিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন আসে। ১৯৭৭ সালে লন্ডনে প্রয়াত হওয়া আমিরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে।

কাতার বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে ছাড়পত্র পাওয়া স্টেডিয়ামটি পুরোপুরি নতুন করে গড়া নয়। ২০০৩ সাল থেকে এটি স্থানীয় ক্লাব আল রাইয়ানের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে এখানে বড় ধরনের ম্যাচও বসে। ২০১৫ সালে এটিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। আল রাইয়ান নাম বদলে স্টেডিয়ামের নাম করা হয় সফল আমীরের নামে।

নতুন স্টেডিয়াম বানাতে আগের স্থাপনাটির প্রায় নব্বই ভাগ পুনঃব্যবহার করা হয়। ২১,২৮২ দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামটি বাড়িয়ে নেয়া হয় ৪৪,৭৪০ আসনে। বিশ্বকাপের পর সেটি আবারও অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। ২০২০ সালে আমির কাপ ফাইনালের পর দেশটির জাতীয় দিবসে উন্মোচিত হয় আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম।

বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যুটি ছয়টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ও একটি শেষ ষোলোর ম্যাচ আয়োজন করবে। আসরের এফ গ্রুপের ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ড-ওয়েলসের ম্যাচও আয়োজন করবে মরুভূমির আদলে গড়া মাঠটি। ২০২০ সালে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যুও ছিল এই মাঠ।

রাজধানীর মধ্যভাগ থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে আল রাইয়ানে স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। এর নকশা ও আশেপাশের ভবনগুলোতে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের দিকগুলো অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরেছে। মরুভূমির বালির টিলা ও ইসলামিক স্থাপত্য দ্বারাও অনুপ্রাণিত আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম।