সাংবাদিক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ রাফে সাদনান আদেল কানাডিয়ান এনজিও ‘ওয়ার্ল্ড ওভারিয়ান ক্যান্সার কোয়ালিশনের ‘ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’ – এর সম্মাননা পেলেন। বিশ্বের ত্রিশটি দেশের তথ্য নিয়ে করা ‘দ্য এভরি উইমেন স্টাডি’–এই গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি এই সম্মাননা পেলেন।
ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড এর তৃতীয় এই আসরে গবেষণা ক্যাটাগরিতে আদেলসহ গবেষণাটির আরও ১৭ জন বিশেষ সম্মাননা পেলেন। তারা হলেন: ফ্রান্সিস রেইড, ক্ল্যারা মেকওয়ে, আইরেন লো, ফ্লোরেন্সিয়া নল, সারা নাসের, বাসেল রেফকি, আসিমা মুখোপাধ্যায়, ট্রেসি অ্যাডামস, রাইখান বোলাৎবেকোভা, দিলওয়ারা কাইদারোভা, গার্থ ফান্সটন, এনজোক ফান, ইভা মারিয়া স্ট্রোমসলম, রানসি চিবাবা, রবেন কোহেন, মার্টিন ওরিগা, ইসাবেলা সিওরজোমাতারাম, ফেডরা কার্লটন এবং মেরি ইকেন।
সম্মাননাটি প্রদান করেছে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কানাডিয়ান এনজিও ‘ওয়ার্ল্ড ওভারিয়ান ক্যান্সার কোয়ালিশন’; যেটি বিশ্বের ২০০টি ওভারিয়ান ক্যান্সারে কাজ করেন এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট।
জোটের প্রধান নির্বাহী ক্ল্যারা মেকওয়ে বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ শতাংশ বাড়তে পারে! যারা ক্যান্সার সচেতনতায় কাজ করছেন তাদের গুরুত্ব অনেক। এটা সত্যি গর্বের যে আমাদের এই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী, নমিনিরা ওভারিয়ান ক্যান্সার কমিউনিটিতে দুর্দান্ত সব কাজ করছেন।’
২০১৪ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে হারান রাফি সাদনান আদেল। সেই বছরই তিনি ক্যান্সার বিষয়ক প্রথম বাংলা ওয়েবসাইট ক্যান্সারবিডি ডট নেট (www.cancerbd.net) প্রতিষ্ঠা করেন, যা কিনা তখন থেকেই ক্যান্সার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করে আসছে।
এছাড়াও ২০২১ সাল থেকে তিনি ওভারিয়ান ক্যান্সার সচেতনতায় আন্তর্জাতিক জোট ‘ওয়ার্ল্ড ওভারিয়ান ক্যান্সার কোয়ালিশন’-এর বোর্ড ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত আছেন। বিশ্বের ত্রিশটি দেশে চলমান গবেষণা ‘এভরি উইওমেন স্টাডি- লো এন্ড মিডেল ইনকাম কান্ট্রি; -এর ওভারসাইট কমিটি মেম্বার হিসেবেও যুক্ত আছেন তিনি।
সম্মাননা পাবার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অনকোলজি ক্লাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাফে সাদনান আদেল বলেন, ‘মাকে হারিয়েছি ক্যান্সারে, ক্যান্সার সচেতনতায় শেষ নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত কাজ করব। এই সম্মাননা দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। এ দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে ক্যান্সার সচেতন করব, ইনশাল্লাহ।’